সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে দু’বছর। পুলওয়ামা হামলার বারো দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানকে (Pakistan) পালটা জবাব দিয়েছিল ভারত। বালাকোটে সেই বিমান হানার (Balakot air strikes) দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে টুইট করে পুলওয়ামার শহিদদের স্মরণ করার পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনাকে কুর্নিশ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে দেশ ও দেশের সেনাদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর আত্মঘাতী হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। তারই বদলা নিতে বালাকোটে বিমান হানা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। সময় যত এগিয়েছে, ততই সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ভোর পৌনে চারটে বালাকোটে বোমা বর্ষণের পরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোনে বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া সাংকেতিক বার্তা দিয়েছিলেন, ”বাঁদর খতম।” কেবল ডোভালকেই নয়, তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সচিবকেও এই বার্তাই দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও খবর পাঠিয়ে দেন ডোভাল।
[আরও পড়ুন: ‘লাখো কৃষকের রক্ত কংগ্রেসের হাতে’, রাহুল গান্ধীকে যোগীর সঙ্গে তুলনা বিজয়নের]
কেন এই নামকরণ? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সেনার শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, এর পিছনে আসল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দাবাহিনীকে বোকা বানানো। ‘বাঁদর’কে মারার পরিকল্পনার কথা জানতে পারলে পাকিস্তান মনে করবে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের কথা বলা হচ্ছে। ইসলামাবাদকে এই ভাবে বিভ্রান্ত করতেই এই নামকরণ করেছিল ভারত। আর সেই পরিকল্পনা দারুণ ভাবে কার্যকর হয়েছিল।
পাকিস্তান টেরও পায়নি ভারতীয় বায়ুসেনার তৈরি করা ব্লু প্রিন্ট। ফলে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান যখন বালাকোটে ৯০ কিলোর স্পাইস ২০০০ বোমা ফেলছিল, তখন সবথেকে কাছে থাকা পাকিস্তানি বিমানেরও অবস্থান ছিল ১৫০ কিলোমিটার দূরে! তবে ছ’টি বোমা ফেলার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাঁচটি বোমা ফেলাই সম্ভব হয়েছিল। ষষ্ঠ বোমাটি ফেলা যায়নি সফটওয়্যারের সমস্যার জন্য।