শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: স্বামীর অনুপস্থিতিতে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল গৃহবধূর। শুক্রবার রাতে সেই যুবককে বাড়িতে ডেকে বিপাকে পড়লেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরকীয়ার অভিযোগে দু’জনকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁদের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) দাসপুরের এই ঘটনা ঘিরে এখনও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
দাসপুরের (Daspur) মাগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর তিরিশের গৃহবধূ। তাঁর স্বামী সোনার কাজে ভিন রাজ্যে থাকেন। তাঁদের দুই সন্তানও আছে। গ্রাম সূত্রে খবর, স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে বছর দুই ধরে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ওই গৃহবধূর। ওই যুবকের বয়স ২৪ বছর। তাঁদের মধ্যে অবাধে মেলামেশাও চলছিল। এই পরকীয়া (Extra Marrital Affairs) সম্পর্কের কথা সকলের জানাই ছিল। শুক্রবার সন্ধেবেলা এই সম্পর্ক ঘিরে অশান্তি দানা বাঁধে গ্রামে।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে লটারি কেটে এক কোটি টাকা জয়! আতঙ্কে পুলিশের দ্বারস্থ লটারি বিক্রেতা]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেবেলা গৃহবধূ ফোন করে ওই যুবককে ডাকেন। যুবকও যান সেখানে। তাঁরা ঘরে থাকা অবস্থায় প্রতিবেশীরা বাড়িতে চড়াও হয়। দু’জনকে একঘরে দেখে তাঁরা পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। গৃহবধূ প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকারও করে নেন। এরপর গ্রামবাসীরা নিজেরাই নিদান দেন, যুবক ও গৃহবধূ যেন গ্রাম ছেড়ে চলে যান। তবে সন্তানদের নিয়ে যাওয়া চলবে না। তাদের গ্রামেই রেখে যেতে হবে। গৃহবধূ সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিলেও যুবকের দাবি, তাঁদের মধ্যে কোনও পরকীয়া নেই। ওই মহিলা তাঁর দিদির মতো। ওই সময়ে তিনি সমস্যায় পড়েছিলেন বলে ফোন করে বাড়িতে ডেকে পাঠান। সেই কারণেই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়েছিলেন যুবক।
[আরও পড়ুন: নদীর পাশে পায়ের ছাপ, শোনা গেল গর্জনও, ফের বাঘের আতঙ্কে কাঁপছে কুলতলি]
যদিও যুবকের এই কথায় মোটেই বরফ গলেনি। প্রতিবেশীরা সাফ জানিয়ে দেন, দু’জনকেই গ্রাম ছাড়তে হবে। এরপর রাতে জোর করেই তাঁদের গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে এ নিয়ে এখনও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়নি। গ্রাম সূত্রে খবর, গৃহবধূ ও যুবক এলাকাছাড়া। তাদের সন্তানরা যদিও বাড়িতেই রয়েছে। এ নিয়ে গ্রামে এখনও উত্তেজনা জারি রয়েছে।