শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সালিশি সভায় যুগলকে তালিবানি কায়দায় মারধর! সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় এক সালিশিসভার ঘটনা। প্রকাশ্যে তরুণ ও তরুণীকে বাঁশের একগুচ্ছ কঞ্চি দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছেন এক ব্যক্তি। চারিদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন মহিলা-সহ অসংখ্য মানুষজন। অথচ কেউ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। থামাননি কেউ। না। বরং যুগলকে পাশবিকভাবে মারধরের মর্মান্তিক দৃশ্য রীতিমতো তাড়িয়ে তাড়িয়ে অনুভব করছে তারা।
[আরও পড়ুন: হজম করতে হয়েছে সমালোচনা, রোহিত-দ্রাবিড়ের ৩ বিতর্কিত সিদ্ধান্তই জেতাল বিশ্বকাপ]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। তার পর গ্রামে সালিশিসভার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি, যিনি এলাকায় 'জেসিবি' নামে পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে খবর, 'জেসিবি' যিনি চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমানের 'ডান হাত' নামে পরিচিত হওয়ায় এলাকায় তাঁর আস্ফালন কার্যত ভয়ঙ্কর। সেই ব্যক্তি আইনের পরোয়া না করে তাঁদের দুজনকে মারধর করেছে।
চারিদিকে কয়েকশো মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ তাঁদের উদ্ধার করেনি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে না গিয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনায় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে জেলাজুড়ে। যদিও 'জেসিবি'কে চেনেন না বলে দাবি করেন বিধায়ক হামিদুল রহমান। চোপড়ার আইসি অমরেন্দু সিংহ বলেন," ঘটনায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।"