অর্ণব আইচ: সুন্দরী মহিলার হেফাজতে নিজের গাড়ি রেখে কিছুটা নিশ্চিতই হয়েছিলেন অ্যাপ ক্যাব চালক। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধান। তার মধ্যেই চালক ফিরে এসে দেখেন, গাড়ি নিয়ে উধাও সেই মহিলা। সঙ্গে উধাও মহিলার সঙ্গীও।
ফের শহরে ‘বান্টি বাবলি’র দৌরাত্ম্য। অভিনব পদ্ধতিতে শহর থেকে অ্যাপক্যাব লুট করে পালাল এক সুন্দরী ও তার পুরুষবন্ধু। পুলিশের মতে, ‘বান্টি বাবলি’ই বটে। সম্পূর্ণ ভুয়ো পরিচয়, ভুয়ো ঠিকানা, এমনকী, ভুয়ো সিম কার্ড ব্যবহার করে দু’জন একসঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকার গাড়িটি লুট করেছে। এর পিছনে বড় পরিকল্পনা ছিল, তা-ও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এবিষয়ে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই অ্যাপ ক্যাব চালক। এর আগে একাধিকবার শহরে গাড়ির চালককে মারধর করে গাড়ি লুট হয়েছে। কখনও বা চোর নকল চাবি ব্যবহার করে গাড়ি নিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু একসঙ্গে ‘বান্টি ও বাবলি’ যেভাবে এই অ্যাপ ক্যাবটি লুট করেছে, তা এক কথায় অভিনব।
[বিজেপিকে রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মীদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ অভিষেকের]
পুলিশ জানিয়েছে, সল্টলেকের বাসিন্দা ঝড়েশ্বর দাস ওই অ্যাপ ক্যাবটির মালিক। তাঁর অধীনস্থ চালক সল্টলেক থেকেই গাড়ি নিয়ে বের হন। রাত ১২.৪৫ নাগাদ এক দম্পতি অ্যাপ ক্যাবটি বুক করেন। চালকের কাছে ফোন আসে, সল্টলেকের দিকে রাস্তার উপর থেকেই অ্যাপ ক্যাবে উঠবেন তাঁরা। গভীর রাতে গাড়িতে দু’জন ওঠেন। গাড়িটি বাইপাস ধরে এগোতে থাকে। কিছুক্ষণ পর বাইপাসের কাছেই একটি রেস্তরাঁর কাছে এসে ওই চালক জানান, তিনি প্রস্রাব করতে নামবেন। পুরুষযাত্রীও সিগারেট কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গাড়ির ভিতরে তখন বসে ওই মহিলা। তিনিই আশ্বাস দিলে নির্ভাবনায় চালক গাড়ি থেকে নামেন। সুন্দরীর কথায় আশ্বস্ত হয়ে চালক একটু দূরে যান। তিনি জানতেও পারেননি কখন গাড়িতে ফিরে এসেছে ওই সুন্দরী মহিলার পুরুষসঙ্গী। নিজেই চালকের আসনে বসে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চালক ফিরে এসে দেখেন, রাস্তা থেকে গাড়ি উধাও। হতবাক চালক গোটা ঘটনাটি সঙ্গেসঙ্গে তাঁর মালিককে জানান। এরপর অভিযোগ দায়ের হলে তদন্তে নেমে মানিকতলা থানার পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। পুলিশের ধারণা যে মোবাইলটি থেকে অ্যাপ ক্যাব বুক করা হয়েছিল, সেটি একটি ‘প্রি অ্যাকটিভেটেড’ সিম কার্ড মাত্র। তাই সিম কার্ডের আসল মালিক কে, তা জানা যায়নি। আসলে যার নামে বুক করা হয়েছিল, তার কোনও অস্তিত্ব মেলেনি। একটি ভুয়ো গন্তব্যের নাম বলেও যে অ্যাপ ক্যাব বুক করা হয়েছিল, সেই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত। গাড়িতে ছিল দু’টি মোবাইলও। সেগুলির সূত্র ধরে চলছে তদন্ত। এছাড়া ‘বান্টি বাবলি’ যেখান থেকে গাড়িতে উঠেছিল ও যে রেস্তরাঁর কাছে গাড়িটি থেমেছিল, সেই জায়গাগুলির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখেও ‘বান্টি বাবলি’কে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
[ স্টেশনের মধ্যেই ঘুষ নিচ্ছেন আরপিএফ কনস্টেবল, দেখুন ভিডিও]
The post ‘বান্টি বাবলি’র হানা, গভীর রাতে সুকৌশলে শহরে লুট অ্যাপ ক্যাব appeared first on Sangbad Pratidin.