সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর দীর্ঘায়ু আর মঙ্গল কামনা করে দিনভর উপোস করেছিলেন। রাতের আকাশে চাঁদ দেখে তবেই স্বামীর হাত থেকে জল পান করে উপোস ভাঙবেন, সেই আশায় না খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছিলেন সারাদিন। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হল না। করবা চৌথের সন্ধেতেই স্বামীর উপর অভিমান করে আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী। বিশেষ দিনে সহধর্মিণীর এমন মর্মান্তিক পরিণতি মানতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দিলেন স্বামীও।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরে। সেখানকার হার্মাদা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন মৃত দম্পতি। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মণিকা বুনকার। রবিবার করবা চৌথ উপলক্ষে দিনভর উপোস করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিকেল গড়াতেই বাড়ে সমস্যা। বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায় মণিকার স্বামী ঘনশ্যামের। কেন স্বামী দেরি করে বাড়ি ফিরেছেন করবা চৌথের দিনে, সেই নিয়ে তুমুল বচসা হয় দম্পতি মধ্যে। ঘনশ্যাম বোঝানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি।
রাগের মাথায় বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান মণিকা। স্ত্রীকে থামাতে চাইলেও ঘনশ্যামের চেষ্টা বিফলে যায়। ছুটে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন মণিকা। চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন ঘনশ্যাম। বাড়ি ফিরে এসে স্ত্রীর শাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। তবে চরম পদক্ষেপ করার আগে দাদাকে হোয়াটসঅ্যাপ করে সমস্ত ঘটনা জানান ঘনশ্যাম। সেখানে লেখেন, "দাদা আমি হেরে গেলাম। আমার স্ত্রী চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছে।"
তবে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পেলেও ভাইকে বাঁচাতে পারেননি ঘনশ্যামের দাদা। জয়পুর পুলিশের এক আধিকারিক জানান, একটি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন ৩৮ বছর বয়সি ঘনশ্যাম। কিন্তু রবিবার তাঁর বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায়। সেখান থেকেই বচসা এবং তার পরে আত্মঘাতী হন দম্পতি। আপাতত একটি অভিযোগ দায়ের করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।