বিধান নস্কর, দমদম: শনিবার ভরদুপুরে রাজারহাটের নারায়ণপুরে (Narayanpur) ঘটে গিয়েছে ভয়ংকর ঘটনা। অভিজাত বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ। স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের (Killing) পর স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট (Suicide Note)। আর তাতেই ঘনিয়েছে রহস্য। নোটে আর্থিক অনটনের কথা উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
নারায়ণপুরের ‘হ্যাভলক’ আবাসনের এক ফ্ল্যাট থেকে শনিবার দুপুরে রক্তাক্ত ও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বামী-স্ত্রীর দেহ। স্থানীয়রাই প্রথমে বিষয়টি পুলিশকে জানান। নারায়ণপুর থানা থেকে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছন। পুলিশ সূত্রে খবর, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি স্ত্রী রূপার গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে খুন করে, মেয়ের উপরও হামলা চালান। তার পর আত্মঘাতী হন। অস্ত্রের কোপে তাঁদের ১৪ বছরের মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেও জীবিত রয়েছে। চিনার পার্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। আপাতত শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। মৃতদেহ দুটিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন:‘মা, আমি কি VIP?’, তৈমুরের অবুঝ প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন করিনা?]
এই ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার (CP) গৌরব শর্মা। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। পরে জানান, ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে পরিবারের আর্থিক অনটনের বিষয় উঠে এসেছে। মৃত সাগর মুখোপাধ্যায় পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী। ব্যবসায় টানাপোড়েন চলছিল। তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তাঁরা। সেই কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে। একই কারণে কি স্ত্রী, মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা? সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই বিষয় আরও পরিষ্কার হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।