সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোটবেলার বন্ধুত্ব থেকেই প্রেম। কিন্তু দু’জনের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। বারবার চেষ্টা করেও পরিবারকে রাজি করতে পারেননি যুগল। শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেন তাঁরা। সিদ্ধান্ত নেন, দু’জনে মিলে আত্মঘাতী হবেন। কিন্তু স্থানীয় পুলিশের (Police Helped to Get Married) উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত করুণ, বিয়োগান্তক, অনভিপ্রেত কোনও পরিণতি নয়, বরং সদর্থক পরিণতি পেল তাঁদের প্রেম। থানায় এনে তাঁদের বিয়ে দিলেন পুলিশকর্মীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে লখিমপুর খেরিতে(Lakhimpur Kheri)। গত পাঁচ মাসে চার যুগল আত্মহত্যা করেছেন এই অঞ্চলে। যুগলের এক বন্ধুর মাধ্যমে পুলিশের কাছে খবর আসে। তখনই পুলিশ উদ্যোগ নেয় এই যুগলকে বাঁচানোর। সিংহহী থানা এলাকার পাশেই এক মন্দিরে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। রবিবার বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার পরে দুই পরিবারের সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ। তাঁদের বলা হয়, দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করতে চান। তাই এই বিয়েতে যেন তাঁরা অমত না করেন।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতায় আসার সাড়ে ৪ মাসের মধ্যেই বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ, বরখাস্ত পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একই গ্রামের বাসিন্দা এই যুগল। দু’জনের বয়স কুড়ির আশপাশে। আসলে ওই যুবক বেকার ছিলেন। তাই নিজের মনের মানুষকে বিয়ে করে বাড়ি থেকে আলাদা থাকাও সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে। দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং একই সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ার কারণে বিয়ে দিতে কোনও সমস্যা হয়নি পুলিশের। স্থানীয় এক পুরোহিতকে ডেকে বিয়ের আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
সিংহহী থানার তরফে রাজকুমার সরোজ বলেছেন, মেয়েটির পরিবার অন্য জায়গায় তাঁর বিয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছিল। নিজেদের জীবনের সমস্যা সমাধান করার কোনও পথ না পেয়েই আত্মহত্যা (Suicide) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দু’জনে। পুলিশ যতটা সম্ভব সাহায্য করেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে প্রায় ১২ টি যুগল আত্মহত্যা করছে উত্তরপ্রদেশে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবার সম্পর্ক মেনে নেয়নি বলেই আত্মঘাতী হয়েছেন যুগলরা। এবার এক যুগলকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে জীবনের দিকে এগিয়ে দিলেন পুলিশকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: চব্বিশের লক্ষ্যে বিশেষ কমিটি গঠন সোনিয়ার, ‘সারপ্রাইজ এন্ট্রি’ পিকের প্রাক্তন সহযোগীর]