সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মাত্র ২৮ দিন। সেভাবে জ্ঞান হওয়ার আগেই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হল মা-বাবার সঙ্গেই। মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী রইল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি। ২৮ দিনের সন্তান-সহ দম্পতির মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল সুতির নূরপুর গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী। স্ত্রী, সন্তানকে খুনের পর গৃহস্বামী আত্মহত্যা করেছেন নাকি কেউ তাঁদের তিনজনকেই হত্যা করেছে, এ নিয়ে জোর চর্চা। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ নিহত গৃহবধূর বাপেরবাড়ির সদস্যদের। আবার পরিবারের কর্তার মানসিক সমস্যার কথা শোনা গিয়েছে তাঁরই বোনের কাছে। ফলে ঘটনার পিছনের কারণ কী, তা নিয়ে ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাদতদন্তে পাঠিয়েছে সুতি থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতির নূরপুর গ্রামের এই পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। মাত্র ২৮ দিনের এক সন্তান রয়েছে তাঁদের। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, সোমবার রাতে তাঁরা খাওয়াদাওয়ার পর দরজা বন্ধ করে ঘুমোতে যান। এরপর সকালে অনেকক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে হতভম্ব হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। দেখা যায়, তিনজনই রক্তাক্ত হয়ে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। খবর দেওয়া হয় সুতি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গৃহবধূর গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। বাচ্চাটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আর এখানেই সন্দেহ গাঢ় হচ্ছে, গৃহস্বামী কি স্ত্রী, সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন?
[আরও পড়ুন: করোনায় প্রার্থীর মৃত্যু, বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রে ভোট স্থগিতের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন]
আচমকা এমন একটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে হাজার সংশয়। মৃত ব্যক্তির বোনের বক্তব্য, তাঁর দাদার সামান্য মানসিক সমস্যা রয়েছে। তা নিয়ে দাদা-বউদির অশান্তি লেগেই থাকত। সেই মানসিক সমস্যা থেকেই কি এমন ঘটনা ঘটালেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপর অত্যাচার চালাত। তাঁরাই পরিকল্পনা করে ২৮ দিনের শিশু-সহ গোটা পরিবারকে খুন করেছে। ‘খুনি’দের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন গৃহবধূর মা। কারণ যাই হোক, এক পরিবারের তিনজনের এই মৃত্যু রহস্যের জন্ম দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও, তেমন কোনও সূত্র এখনও তদন্তকারীদের হাতে আসেনি বলে খবর।