অর্ক দে, বর্ধমান: ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে সিঁদুর। গলায় ফুলের মালা। ঝুলছেন যুগল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কী কারণে জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিলেন দু’জনে? বর্ধমানের তিনকোনিয়ার হোটেল থেকে যুগলের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের ভিড়।
শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ বর্ধমান শহরে হোটেলের একটি ঘর বুক করেন মহাদেব মাঝি নামে এক যুবক। তাঁর পরিচয়পত্র জমা নেওয়ার পরই ঘর দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাতে সেখানেই ছিলেন তিনি। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রিয়াঙ্কা মিত্র নামে এক তরুণী। হোটেল কর্তৃপক্ষকে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান তাঁরা। এমনকি হোটেলের ভাড়াও মিটিয়ে দেন মহাদেব।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল নেতাদের দেখলে গাছে বেঁধে রাখুন’, নিদান দিয়ে বিতর্কে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক]
এরপর কেটে যায় দীর্ঘক্ষণ। ঘর থেকে বেরোননি কেউ। ডাকাডাকি শুরু হয়। এভাবেই প্রায় বেলা ১২টা বেজে যায়। বাধ্য হয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশ। হোটেলে পৌঁছে পুলিশ দরজা ভাঙে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিএসপি ট্রাফিক রাকেশ চৌধুরী ও বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীও। ভিতরে ঢুকে কার্যত অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। হোটেলের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে একটি নাইলন দড়িতে দেহ দু’টি ঝুলছে। তাঁদের গলায় ফুলের মালা। ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে সিঁদুর।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, আত্মঘাতী হয়েছেন দু’জনে। আত্মহত্যার আগে তাঁরা হোটেলের ঘরে বিয়ে করেছিলেন বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। তবে কী কারণে দু’জনে আত্মহত্যা করলেন, তা স্পষ্ট নয়। পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।