সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে প্রায়ই শিশু ও কিশোরদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসে। এবার শিশু শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল একটি মাদ্রাসায়। অভিযুক্ত মাদ্রাসারই হোস্টেল সুপার। প্রায় বছর তিনেক ধরে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। রবিবার অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বাংলাদেশের আদালত।
জানা গিয়েছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আহমদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার হোস্টেল সুপার হিসাবে কর্মরত ছিল নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি। ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ওই মাদ্রাসায় চার শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। সেসময়ই ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে একজনের বাবা রাঙ্গুনিয়া থানায় নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযুক্ত আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
[আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধে জ্বলছে মায়ানমার! আঁচ ভারত-বাংলাদেশেও, সতর্কবার্তা আমেরিকার]
মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২১ সালের ৪ জুলাই নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এর পর ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়। গত রবিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদিন এই মামলার রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে চারজন। এই কাণ্ডে তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তদের তিন দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম এই আদেশ দিয়েছেন।