সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন ইস্যুতে শাসকদলের নেতাদের বিরোধীরা আক্রমণ করবে, এমনটা দেখতে অভ্যস্ত সকলে। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিপাকে পড়লেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর মুখে লাগাম পড়াল কলকাতা হাই কোর্ট! আদালতের নির্দেশ, শাসকদলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে আর কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না বিজেপির এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। শুধু তাই নয়, কোন কোন বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ।
[ফের শহরে ‘স্কিমার’ আতঙ্ক, মহিলা পুলিশকর্মীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা]
ব্যাপারটি কী? গত ২৮ নভেম্বর নদিয়ার শান্তিপুরে বিষমদ খেয়ে মারা যান ১২ জন। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। সরকারের বিরুদ্ধে যথারীতি সুর চড়িয়েছিল বিরোধীরা। ঘটনা দু’দিন পর মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শান্তিপুরে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এ রাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিষমদ কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন তিনি। শান্তিপুরে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘সরকারি মদ বিক্রির টাকা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর বেআইনি মদের টাকা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। এই মৃত্যুর দায় তাঁদেরকেই নিতে হবে।’ ১ ডিসেম্বর ওই বিজেপি নেতাকে আইনি নোটিস পাঠান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। নোটিসে বলা হয়, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু, ক্ষমা চাওয়া তো দূর অস্ত, উলটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বালি, কয়লা ও গরু পাচার এমনকী, বেআইনি অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে বিবৃতি দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক। কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয় ৫ ডিসেম্বর। মামলার শুনানিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। কিন্তু, আদালতে হাজিরা দেননি তিনি।
[ শনিবার রাত থেকে ২০ ঘণ্টা বারাসত ও মধ্যমগ্রামের মাঝে বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল]
The post অভিষেকের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে পারবেন না কৈলাস, নির্দেশ হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.