সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক বছরের বিরতির পর ফের শক্তি বাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বিশ্বের অন্তত ৮৫টি দেশে করোনার প্রকোপ গুরুতর আকার নিয়েছে। পিছিয়ে নেই ভারতও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে গত জুন ও জুলাই মাসে ৯০৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সব মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে হানাদারি শুরু করেছে করোনার নয়া ঢেউ।
বর্তমানে গোটা বিশ্বের মধ্যে করোনায় সব চেয়ে গুরুতর অবস্থা আমেরিকায়। সেখানকার প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, আমেরিকার ২৫টি রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল আকার নিয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমের রিপোর্ট বলছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আরও একটি রিপোর্ট বলছে করোনার জেরে আমেরিকায় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, গত জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত ৯০৮ জন আক্রান্ত ও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনও পর্যন্ত ভারতের পরিস্থিতি বিশেষ গুরুতর না হলেও, সতর্ক থাকা উচিত। যেহেতু নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে সেহেতু সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, মারণ এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর ২৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, বর্তমানে ভারতে করোনার যে ভ্যারিয়েন্ট দেখা গিয়েছে তা হল কেপি ভ্যারিয়েন্ট। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম কেপি.২ ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ওড়িশাতে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, দেশের একাধিক রাজ্যে ২৭৯ জন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। অসম, দিল্লি, গুজরাট, কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে ব্যাপকভাবে ছড়াতে শুরু করেছে ভাইরাস।
[আরও পড়ুন: সায়নের জামিনের বিরোধিতা, সুপ্রিম কোর্টে খারিজ রাজ্যের মামলা]
তবে সংক্রমণ বাড়লেও উদ্বেগের তেমন কিছু নেই বলে মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জুলাই মাসে সংসদে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা জানিয়েছিলেন, এখনই ভয় পাওয়ার মতো কিছু হয়নি। হাসপাতালগুলিতে সংক্রমণের সংখ্যাও বাড়েনি। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের দাবি, সরকার গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে।