সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দফায় করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) ধাক্কা সামলে সুস্থতার পথে দ্রুত এগোচ্ছে দেশ। সপ্তাহের মধ্যভাগে আরও নিম্নমুখী কোভিড (COVID-19) গ্রাফ। দেশে কমল মহামারীর সংক্রমণ ও মৃত্যু। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৬১ জন। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৬৯০০র বেশি। দৈনিক মৃত্যুহারও কমেছে। একদিনে কোভিডের বলি দেশের ১৪২ জন। নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেট, অ্যাকটিভ কেসও। এদিকে, করোনার প্রকোপ কাটিয়ে একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ হজার ৯৪৭ জন।
নতুন বছরের শুরু থেকে দেশে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের (Omicron) দাপটে তা কিছুটা উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। তবে কোথাও কোথাও কড়া কোভিডবিধি জারি থাকায় ধীরে ধীরে সুস্থতার পথেই এগিয়ে গিয়েছে ভারত (India)। মার্চের গোড়া থেকে ধারাবাহিক নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ তারই প্রমাণ। সংক্রমণের হার এমনটাই থাকলে হয়ত সেইদিন খুব দূরে নেই যখন দৈনিক সংক্রমণ নেমে আসবে হাজারের নিচে। এমনই আশা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পডুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভে বাড়ছে ধর্ষণ, ডাকাতি! জেলেনস্কির প্রশাসনকে দুষলেন ইউক্রেনীয় সাহিত্যিক]
দেশে কমছে করোনা অ্যাকটিভ কেসও। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ১৫২ জন। মহামারীর ধাক্কা সামলাতে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে জানুয়ারি থেকে। জরুরিভিত্তিতে আরও বেশ কিছু টিকার অনুমোদনও দিয়েছে কেন্দ্র। বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের।
[আরও পডুন: খাস কলকাতায় বার সিঙ্গারের রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগে সরব বাবা-মা]
সংক্রমণ ক্রমশ কমতে থাকায় গত বিভিন্ন রাজ্যে উঠেছে কোভিড বিধিনিষেধ। খানিকটা শিথিল হয়েছে নিয়মকানুন। খুলে গিয়েছে ছোটদের স্কুলও। তবে মাস্ক ব্যবহার এখনও বাধ্যতামূলক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত স্য়ানিটাইজেশনও করা হচ্ছে। তবে এখনও বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ান। মার্চের ৩১ তারিখ পর্যন্ত উড়ান চলাচলে জারি নিষেধাজ্ঞা। তারপর পরিস্থিতি বুঝে তা চালুর সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র।