সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেতে পারে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রের খবর, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে তৈরি ভ্যাকসিনে (Corona Vaccine) ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে WHO। সেই তালিকাতে নাম আছে কোভিশিল্ডেরও। ইতিমধ্যেই নাকি সেরাম ইনস্টিটিউটকে নিজেদের ভ্যাকসিন সম্পর্কে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে WHO’র তরফে।
প্রসঙ্গত, ‘কোভিশিল্ড’ সেরাম ইনস্টিটিউটে (Serum Institute of India) তৈরি হলেও, এটির প্রযুক্তি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিজ্ঞানীদের। সেরাম সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে মাত্র। শোনা যাচ্ছে ভারতে তৈরি এই ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ার তালিকায় উপরের সারিতেই আছে। সেরাম কর্তারা আগেই জানিয়েছিলেন, এই ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশের বেশি কার্যকরী। এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ। সেই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে ভ্যাকসিনটির WHO’র ছাড়পত্র পেতে অসুবিধা হওয়ার কথা না। আসলে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টার্গেট হল চলতি বছরেই করোনা ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এর মধ্যে ১৩০ কোটি যাবে গরিব দেশগুলিতে। এই টার্গেট পুরণ করতে হলে সেরামের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিতেই হবে। কারণ, এটিই বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা। সেরাম ছাড়া এত পরিমাণ ভ্যাকসিন আর কোনও সংস্থা তৈরি করতে পারবে না।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় কোভিড টিকা নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, ভ্যাকসিন পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীরাও]
ইতিমধ্যেই ভারতে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন। দেশজুড়ে টিকাকরণও শুরু হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলেও কোভিশিল্ডের চাহিদা নেহাত কম নয়। ভারতের প্রতিবেশী দেশ তো বটেই বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের বহু দেশও চাতক পাখির মতো এই ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করে আছে। তবে, এসবের মধ্যেও অনেকে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ‘তাড়াহুড়ো’তে ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে রাজনীতিও হয়েছে। তবে, WHO এই ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিলে যাবতীয় সংশয় যে দূর হয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।