সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) অতিমারীর সময়ে ভারতে মারণ ভাইরাসের জেরে সরকারি মৃত্যুর পরিসংখ্যান যা, তা থেকে প্রায় দশগুণ বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO’র পরিসংখ্যানে অন্তত এমনই দাবি। ভারতের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে কোভিডের জেরে মৃত্যু হয়েছে কমবেশি ৫ লক্ষ ২০ হাজার জনের। কিন্তু WHO’র পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে কোভিডের (COVID-19) জেরে সরাসরি বা পরোক্ষে মৃত্যু হয়েছে আরও প্রায় ৪৭ লক্ষ মানুষের। এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে গোটা বিশ্বে কোভিডের মহামারী নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে বিশ্বে মোট ১৪.৯ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু ঘটেছে কোভিডের জেরে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিটি দেশের প্রতি WHO’র পরামর্শ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, ভারতে ২০২০ সালের অগাস্টের মধ্যে যতদিন লকডাউন (Lockdown) ছিল, ততদিন কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। তবে মৃত্যু মিছিল বাড়তে থাকে সেপ্টেম্বরের পর থেকে। ভারতে মৃত্যুর যা স্বাভাবিক অঙ্ক, তার থেকে ১৩ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড কালে। ভারত প্রসঙ্গে WHO’র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি উঠে এসেছে।
[আরও পডুন: বোরখা সরিয়ে সেলফি নিলেই বিপদ! মুসলিম মহিলাদের হুমকি চরমপন্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের]
২০২১ সালের শুরুতেই ভারত দেখেছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ (Second Wave)। যেখানে হাসপাতালে পর হাসপাতালে বেড পেতে কালঘাম ছুটেছে জনসাধারণের। অক্সিজেন (Oxygen)সিলিন্ডারের অভাব কার্যত বিধ্বস্ত করে তোলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে। যদিও সরকারি পরিসংখ্যানের থেকে হু’র পরিসংখ্যান বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় ভারত সরকার প্রশ্ন তুলছে হু’র গণনা পদ্ধতি নিয়ে। এদিকে, যে পরিমাণ বাড়তি মৃত্যুর সংখ্যা দেখানো হয়েছে, তার একটা বড় অংশ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে উঠে আসছে বলে দেখা যাচ্ছে।
[আরও পডুন: ‘সৌরভকে বলো রসগোল্লা-দই কিনে দিতে’, মহারাজের বাড়িতে ‘শাহী’ সফর নিয়ে মন্তব্য মমতার]
যদিও বিবৃতি প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই দাবিকে কার্যত খারিজ করে দিয়েছে ভারত সরকার। সেখানে গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে WHO’র কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। এদিকে, সরকারি পরিসংখ্যানের থেকে বাড়তি মৃত্যুর পরিসংখ্যানে নিরিখে সবচেয়ে আগে রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, তারপর রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকা। এই এলাকায় ৮৪ শতাংশ বাড়তি মৃত্যুর পরিসংখ্যান লুকিয়ে রয়েছে। বাকি ৬৮ শতাংশ বাড়তি মৃত্যুর পরিসংখ্যান রয়েছে বিশ্বের বাকি ১০ টি দেশে।