ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: অনাথ শিশু-কিশোর-কিশোরী কোভিড আক্রান্ত হলে দেখভালের দায়িত্ব কোভিড ওয়ারিয়রদের। স্বাস্থ্য ও শিশু নারীকল্যাণ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
[আরও পড়ুন: বাদুড়ঝোলা ভিড়ে বেসামাল! স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন থেকে রেললাইনে পড়ে জখম যাত্রী]
শিয়রে করোনার (Corona Virus) তৃতীয় ঢেউ! অন্তত এমনটাই শঙ্কা স্বাস্থ্যকর্তাদের। বয়স্ক তো বটেই নবজাতকও সংক্রমিত হতে পারে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে ঘর গোছাতে শুরু করেছে স্বাস্থ্যভবন। যে শিশু বা কিশোর-কিশোরী অনাথ। অথবা যে কোনও কারণে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হলে কে তার পাশে থাকবে? কেই বা দেখভাল করবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন স্বাস্থ্যকর্তাদের। অবশ্য উত্তরও মিলেছে। দিনকয়েক আগে স্বাস্থ্য ও শিশু নারীকল্যাণ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে কোভিড ওয়ারিয়রদের (Covid warriors) বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে। হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন সেই শিশু বা কিশোর-কিশোরীর যাবতীয় দেখভাল করবেন তাঁরাই। এই জন্য মহিলা ও পুরুষ কোভিড ওয়ারিয়রদেরও প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশেষ করে ১২-১৩ থেকে ১৮-১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীদের পুরুষ বা মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসা হবে। কিন্তু দেখভাল করবেন তাঁরাই।
ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় সরকারি, বেসরকারি এমনকী, প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন এমন চিকিৎসকদেরও অনলাইনে কোভিড চিকিৎসার প্রশিক্ষণ আরও একবার শুরু হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ও নবজাত শিশু বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ যেমন শুরু হয়েছে। তেমনই আইসিইউ, এইচডিইউ ইউনিটে কোনও যান্ত্রিক সমস্যা থাকলে তাও মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। অনলাইনে কোভিড চিকিৎসার প্রশিক্ষণের জন্য মেডিক্যাল কলেজের বিশিষ্ট অধ্যাপকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নবজাতক থেকে ১৭-১৮ বছর বয়সের মধ্যে থাকা রোগীর খোঁজ নেওয়ায় গুরুত্ব দেওয়া হছে।