অর্ণব আইচ: শব্দবাজির দৌরাত্ম্য রুখতে এবার পুলিশ আবাসনে গিয়ে জোরদার প্রচার চালানোর নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। বুধবার এই বিষয়ে তিনি শহরের প্রত্যেকটি থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের বার্তা পাঠিয়েছেন। কয়েকটি পুলিশ আবাসনের নামও উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, এদিন রাজাবাগানে বড়তলা পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধনে এসে পুলিশ কমিশনার জানান, কালীপুজো ও দিওয়ালিতে শব্দবাজি রোধে লাগাতার ধরপাকড় চলছে। ধরা পড়ছে শব্দবাজি। শব্দবাজি রোধ করার জন্য পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও দায়িত্ব নিতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণ মানুষকেও শব্দবাজি রোধে দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। এদিন বিকেলে ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপনের সামনে শহরের প্রবীণরা পুলিশ অফিসারদের সহায়তায় শব্দদানবের হাত থেকে শহরকে বাঁচাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন। শব্দবাজি ও ডিজে’র দৌরাত্ম্য কমানোর চেষ্টায় এবার নামলেন তাঁরাও। এদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারাও রাস্তায় নেমে শব্দবাজি ফাটানোর বিরুদ্ধে মিছিল করেন।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, প্রত্যেক বছর কালীপুজা ও দীপাবলির সময় পুলিশের কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও শহরের কয়েকটি জায়গায় শব্দবাজি ফাটে। পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে অভিযোগও হয়। গত কয়েক বছরে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ এসেছে শহরের বিভিন্ন পুলিশ আবাসন থেকেও। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে পুলিশকর্মীরা শব্দবাজি রোধ করার জন্য কলকাতাজুড়ে দৌড়াদৌড়ি করেন, সেখানে তাঁদের বাসস্থানেই কীভাবে শব্দবাজি ফাটে? তাই এবার এই বিষয়ে কড়া হয়েছেন পুলিশ কমিশনার। এদিন তিনি বার্তা পাঠিয়ে প্রতে্যক থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের জানিয়েছেন, শহরের পুলিশ আবাসনগুলিতে মাইক নিয়ে প্রচার ও সচেতনতা গড়ে তুলতে। এই বার্তায় পুলিশ কমিশনার গোখেল রোড, আলিপুর বডিগার্ড লাইন, পার্ক স্ট্রিট, যাদবপুর ও শহরের পদস্থ কর্তাদের পুলিশ আবাসনের বিষয়ও উল্লেখ করেছেন।
[আরও পড়ুন: দীপাবলিতে নির্দিষ্ট ফাঁকা জায়গায় ফাটাতে হবে বাজি, নির্দেশ লালবাজারের]
জানা গিয়েছে, যাতে এবার কলকাতার এই পুলিশ আবাসনগুলি থেকে কোনও শব্দবাজির শব্দ না পাওয়া যায় ও কেউ পুলিশের পরিবারের লোকেদের উপর আঙুল তুলতে না পারেন, তার জন্যই আবাসনগুলিতে সচেতনতা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এই নির্দেশ পাওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকরা পুলিশ আবাসনগুলিতে গিয়ে মাইক নিয়ে প্রচার করতে শুরু করেছেন। আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুলিশের পরিবারের লোকেদের আবাসন ছাড়াও রয়েছে পুলিশকর্মীদের বারাক। আবার পার্ক স্ট্রিট বা গোখেল রোডের আবাসনে থাকেন অনেক পুলিশকর্তাও। পুলিশের পরিবারের লোকেরা যাতে শব্দবাজি না কেনেন ও আবাসন থেকে যাতে একেবারেই শব্দ না পাওয়া যায়, সেই বিষয়েই এবার আবাসনগুলিতে লাগাতার প্রচার হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
The post শব্দদানব রুখতে এবার পুলিশ আবাসনে মাইকিংয়ের নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের appeared first on Sangbad Pratidin.