সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তরুণী চিকিৎসকের যৌন হেনস্তা-মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। কোনওটাই ঠিক নয়। কাউকে আড়াল করা হচ্ছে না। একেবারে স্বচ্ছভাবে চলছে তদন্ত। আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) গিয়ে এমনই দাবি করলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁর আবেদন, ''আপনাদের কারও কোনও প্রশ্ন থাকলে সরাসরি আমাদের কাছে আসুন। কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে আমাদের সেই তথ্য জানান। কিন্তু কোনও গুজবে (Rumour) কান দিয়ে অযথা উত্তেজনা নয়। দোষীর কঠোরতম শাস্তির জন্য আমরা তদন্ত করছি।'' রবিবার বিকেলে উচ্চপদস্থ অধিকর্তাদের নিয়ে আর জি কর হাসপাতালে যান বিনীত গোয়েল। দীর্ঘক্ষণ সেখানে থেকে একাধিক বিভাগ পরিদর্শন করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিপি (CP)।
সিপি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পড়ুয়াদের দাবি মেনে ঘটনার দিন রাতে কর্তব্যরত এসিপি (নর্থ) চন্দন গুহকে অপসারণ (Remove)করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের আরও দাবি ছিল, তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট (PM Report) প্রকাশ্যে আনতে হবে। এদিন সিপি জানালেন, "ভারপ্রাপ্ত জয়েন সিপি (ক্রাইম) তথা SIT-এর প্রধান মুরলীধর শর্মা আজ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। পরিবারকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিয়ে এসেছেন তিনি। ওঁদেরও যা যা প্রশ্ন ছিল, তা আমরা শুনেছি, সহযোগিতাও করা হয়েছে। আমরা মনে করছি, পরিবার তদন্তে সন্তুষ্ট। তার পরও ওঁদের বা আপনাদের কারও কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে সরাসরি আমাদের বলতে পারেন।'' কিছুটা ক্ষোভের সুরে সিপির আরও বক্তব্য, ''নানা ধরনের গুজব রটছে। সেগুলো হল, এই ঘটনায় অনেক লোক যুক্ত রয়েছে। কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এইগুলো গল্প বানানো হচ্ছে। পড়ুয়া বা চিকিৎসকরা যদি মনে করেন, আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে, তাহলে সরাসরি আমাদের জানান। আমরা তা খতিয়ে দেখব।''
[আরও পড়ুন: গোপনাঙ্গ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব যুবকের! এবার কাটোয়া হাসপাতালে হেনস্তার শিকার মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী]
মৃতা তরুণীর শরীর আঘাতের বিষয়টি নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। তা নিয়ে পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, দেহের আঘাত নিয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে কথা বলা হবে। এছাড়া সিসিটিভি (CCTV) নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে কী করা যায়, তা দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিন সন্ধ্যায় সিপি হাসপাতাল ছেড়ে বেরতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্নরা প্ল্যাকার্ড হাতে 'বিচার চাই' বলে স্লোগান তোলেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। সোমবার থেকে আর জি কর হাসপাতালের জরুরি পরিষেবাও (Emergency) বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতেই পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা।