ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: একুশের মঞ্চ থেকেই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ১৯ ডিসেম্বরের ব্রিগেড সমাবেশে সব বিজেপি বিরোধী দলকে আহ্বান করবেন তিনি। কিন্তু মমতার সেই ডাকে সাড়া দিতে নারাজ বামেদের দুই ছোট শরিক। রাজ্যে তৃণমূলই বামেদের প্রধান শত্রু, তাই শাসক দলের কোনও কর্মসূচিতে তারা অংশ নেবে না। সাফ জানিয়ে দিল ফরোয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআই।
[মুখ্যমন্ত্রীর ফর্মুলায় মন্ত্রিত্ব-মেয়রের দায়িত্ব সামলাব: ফিরহাদ]
ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য সিপিআই রাজ্য নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু সেই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া। এই প্রসঙ্গে সিপিআই রাজ্য নেতৃত্বের অভিযোগ, “বিগত পঞ্চায়েত ভোটে সিপিআই-সহ অন্য বাম কর্মীদের উপর হামলা করেছিল শাসকদল। তাছাড়া রাজ্যে বামেদের প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল। তাই এই দলের কোনও কর্মসূচিতে অংশ নেবে না সিপিআই। রবিবার দলের এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বপনবাবু এদিন বলেন, “বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলার লক্ষ্যে তৃণমূল তৎপরতা শুরু করছে। তাই ওই দলের পক্ষ থেকে ব্রিগেড সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য সিপিআই রাজ্য নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চিঠিটি পাঠিয়ে দেয়। তবে কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেয় রাজ্য কমিটিকে। তারপরই বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[রাজ্যের সংখ্যালঘুদের স্বার্থে ‘আওয়াজ’ তুলবে এই নয়া সংগঠন]
সিপিআইয়ের মতোই ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তৃণমূলের ব্রিগেডে যাবে না দল। এদিকে ২৬ ডিসেম্বর সিপিআইয়ের ৯৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতায় আসছেন কানহাইয়া কুমার। রানি রাসমণি রোডে সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন কানহাইয়া কুমার। এ ছাড়াও সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক এস সুধাকর রেড্ডি ও রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। স্বপনবাবু জানিয়েছেন,“৮ ও ৯ জানুয়ারি দেশজুড়ে সিটু ও অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন যে জোড়া ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তাকে সমর্থন করে প্রচার চালাবে দল। “