ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ১২৫ তম নেতাজির (Netaji Subhas Chandra Bose) জন্মজয়ন্তী পালন নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে ‘প্রতিযোগিতা’র আবহ তৈরি হয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কেন্দ্র। আর ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে করা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে আপাতত তোলপাড় রাজনীতির আঙিনা। তারই আঁচ এবার বিধানসভাতেও।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অধিবেশনের শুরুতেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অপমান নিয়ে প্রস্তাব আনতে চায় সরকার পক্ষ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জন্মজয়ন্তীতে নেতাজিকে স্মরণ না করে নিন্দনীয়ভাবে ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চকে রাজনৈতিক মঞ্চের রূপ দেওয়া হয়েছে। এতে নেতাজিকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। ওই মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করে অপমান করা হয়েছে।” সেই সময় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। আর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাম ও কংগ্রেসের দিকে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক। পালটা চিৎকার করতে শুরু করেন বাম এবং কংগ্রেস বিধায়কেরা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন তাঁরা। ধাক্কাধাক্কিও শুরু হয়ে যায়। যদিও পরে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের ব্যবহৃত শব্দের বিরোধিতা করেন। সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিন্দনীয়। কিন্তু তাঁদের যেভাবে অপমান করা হল তাও নিন্দনীয়।”
[আরও পড়ুন: কোন্নগরজুড়ে ‘দাদার অনুগামী’ পোস্টার, তুঙ্গে প্রবীর ঘোষালের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা]
এদিকে, এদিনের বিধানসভা অধিবেশনে গরহাজির লক্ষ্মীরতন শুক্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া এবং প্রবীর ঘোষাল। দিনকয়েক আগেই ‘বেসুরো’দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন রাজীব, বৈশালী এবং প্রবীর ঘোষাল। দলবিরোধী সেভাবে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে। তবে তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসার কথা বলেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রত্যেকেরই বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা মাথাচাড়া দেয়। তারই মাঝে বিধানসভা নির্বাচনেও গরহাজির থাকার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সকলেই।