বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: কমিশন ও প্রশাসনের সহযোগিতায় পুরভোটকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করেছে শাসকদল, অভিযোগ বাম ও কংগ্রেসের। প্রতিবাদে সোমবার সবকটি মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বামফ্রন্ট। তবে বিজেপির বন্ধে সমর্থন নেই তাঁদের। পাশাপাশি আগামিকাল গণতন্ত্র হত্যা বিরোধী দিবস পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)।
পুরভোটে (WB Civic Polls 2022) সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাজ্যের গেরুয়া শিবির বন্ধের ডাক দিলেও সেই পথে হাঁটতে নারাজ বাম ও কংগ্রেস। ক্ষমতা নেই তাই ধর্মঘটের পথে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তবে যে ইস্যুতে বিজেপি বন্ধের ডাক দিয়েছে তাকে সমর্থন করেন তিনি। বিজেপির ডাকা বন্ধের বিরোধিতা করেছে বামেরা। ভোটের দিন বিজেপি কোথায় ছিল, প্রশ্ন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। তবে ভোটের নামে কমিশন ও সরকারি মদতে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস, বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট এবং মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে শাসকদল। শাসকদলের হয়ে পুলিশ বুথ দখল করে ভোট দিয়েছে বলে অভিযোগ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। তাঁর অভিযোগ, ভোট শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করতে নেমেছিল শাসকদল। তবে কিছু জায়গায় বামেরা শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমর্থ হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভোটের দিন গড় বাঁচাতে মরিয়া হেভিওয়েটরা, কেউ ছুটলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ গুন্ডামির]
তবে এখনও কোনও বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয়নি বলেই খবর। স্কুটিনির পরই কত বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি করা হবে তা জানানো হবে বলে জানিয়েছে আলিমুদ্দিন। বামেদের সুরে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেসও। প্রদেশ সভাপতির অভিযোগ, ১০৮টি পুরসভার প্রায় প্রত্যেকটি জায়গাতেই শাসক দলের গুণ্ডাবাহিনী পুলিশের মদতে বিরোধী প্রার্থীদের উপর আক্রমণ, এজেন্টদের বুথে বুঝতে না দেওয়া ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ অধীররঞ্জন চৌধুরীর।
উল্লেখ্য, রবিবার অবাধে ছাপ্পা, ভোট লুট ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাজ্যস্তরে কোনও বিক্ষোভ অবরোধ কর্মসূচি না হলেও প্রতিটি জেলাতেই অবরোধ করে বামেরা। কমিশন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ বলে অভিযোগ সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর। রাজ্যের শাসকদলের হাতে সব পুরসভা তুলে দিতে সকাল থেকেই সক্রিয় ছিল কমিশন ও প্রশাসন, অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।