বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ভবিষ্যতে জোট থাকবে কিনা দিব্যি করে বলতে পারছেন না কেউ। তার মধ্যেই আলোচনার টেবিলে বসতে কংগ্রেসকে (Congress) প্রস্তাব সিপিএমের। বুধবারই সিপিএমের এক শীর্ষনেতা বিধানভবনকে এই প্রস্তাব দিয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। মূলত ভবানীপুর ও সামশেরগঞ্জ আসনে জটিলতা কাটাতেই বৈঠকে বসার প্রস্তাব বলে জানা গিয়েছে।
আগ বাড়িয়ে জোট ভাঙতে যাবে না পার্টি। গত রাজ্য কমিটির বৈঠকে সাফ জানিয়েছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Suryakanta Mishra)। আবার কংগ্রেসের পর্যালোচনা বৈঠকেও জোটের পক্ষেই সওয়াল করেছেন একাধিক নেতৃত্ব। এরমধ্যেই প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) বক্তব্যে সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তিনি জানান, বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সরকারে আসা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে চান না। মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানাতেই তাঁর এই অবস্থান বলেও জানান। তবে বিধানভবনে এর পক্ষে ও বিপক্ষে মত রয়েছে। অনেকের মতেই, অধীর নন। শেষ সিদ্ধান্ত নেবে হাইকমান্ড। সভাপতি শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছাটুকু জানিয়েছেন। অধীর প্রার্থী দেওয়ার বিপক্ষে হলেও বামেরা বিরুদ্ধ মত পোষণ করে। জোটের আসনরফা মেনে কংগ্রেস একান্তই ভবানীপুরে প্রার্থী না দিলে বামেরা আসন ফাঁকা ছাড়তে নারাজ। তাঁদের যুক্তি জোটের প্রার্থী না থাকলে ঘুরিয়ে বিজেপিকে সাহায্য করার দায় নিতে হতে পারে। কারণ, বিরোধী ভোট এক বাক্সে আনতে জোটের প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ সামনে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রার্থী থাকাই শ্রেয় বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন।
[আরও পড়ুন: ‘৩৫৬ ধারা বাগবাজারের রসগোল্লা নয় যে চাইলেই মিলবে’, শুভেন্দুকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের]
বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তাই এদিন সিপিএম (CPIM) কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য এক কংগ্রেস শীর্ষনেতার সঙ্গে দেখা করেন। আলোচনারও প্রস্তাব দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সিপিএম নেতা জানান, প্রথমে ভবনীপুরে যাতে কংগ্রেস প্রার্থী দেয় সেই অনুরোধ জানান হবে। না দিলে প্রার্থী দেবে সিপিএম। এছাড়াও সামশেরগঞ্জ আসনের জটিলতা কাটাতেও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে সিপিএম। এই আসনে কংগ্রেস ও সিপিএম দু’পক্ষই প্রার্থী দিয়ে রেখেছে। আসনরফার শর্ত অনুযায়ী এখানে সিপিএমের প্রার্থী দেওয়ার কথা। এছাড়াও খড়দা, শান্তিপুর ও দিনহাটা আসনের উপনির্বাচন নিয়েও একবার আলোচনার জন্যই প্রস্তাব বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।