shono
Advertisement
CPIM

৩ বছরে সদস্য সংখ্যা কমেছে কত? রাজ্য সম্মেলনের সাংগঠনিক রিপোর্টে গভীর চিন্তায় আলিমুদ্দিন

একুশের বিধানসভা ভোটের পর সিপিএম এই রাজ্যে শূন্য।
Published By: Sayani SenPosted: 07:40 PM Feb 19, 2025Updated: 07:40 PM Feb 19, 2025

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: গত তিন বছরে বঙ্গ সিপিএমের পার্টি সদস‌্য ২৫ হাজার কমে গিয়েছে বলে রাজ‌্য সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হল। পার্টি সূত্রে খবর, প্রতিবেদনের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪০-এ বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। বছরভিত্তিক একটা তথ‌্য দেওয়ার পাশাপাশি সদস‌্যপদ পাওয়ার এক বছরের মধ্যে পার্টি মেম্বারশিপ ড্রপ করা সদস্যের সংখ্যাও উদ্বেগজনক বলা হয়েছে সম্পাদকীয় রিপোর্টে। যদিও দাবি করা হয়েছে, পার্টি মেম্বারশিপের অন্তর্ভুক্তি বেশি। প্রতিবেদনের ৪২ নম্বর পৃষ্ঠায় ২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পার্টি মেম্বারশিপ সংক্রান্ত তথ‌্য তুলে ধরা হয়েছে। তাতে রয়েছে, ২০২২ সালে পার্টির সদস‌্যপদ খারিজ হয় ১১ হাজার। মোট সদস‌্য সংখ‌্যা ছিল ১ লক্ষ ৫৪ হাজার। ২০২৩ সালে ৫৮০০ সদস‌্যপদ খারিজ হওয়ার পর সদস‌্য ছিল ১ লক্ষ ৫৭ হাজার। ২০২৪ সালে ৮৪০০ মেম্বারশিপ খারিজ হয়েছিল। সদস‌্য সংখ‌্যা ১লক্ষ ৫৮হাজার।

Advertisement

একুশের বিধানসভা ভোটের পর সিপিএম এই রাজ্যে শূন্য। তারপর আলিমুদ্দিনের তরফে ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করা হলেও ভোট যেমন কমেছে, সদস‌্য সংখ‌্যাও তেমনই হ্রাস পেয়েছে। দলের সদস‌্যপদ পূনর্নবীকরণের শেষে এই তথ‌্য সামনে আসায় আলিমুদ্দিনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। পার্টির সদস‌্য সংখ‌্যা হ্রাসের ফলে নানা ধরনের কমিটিও বিভিন্ন জায়গায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন ভোটে কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট করার জন‌্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে আলিমুদ্দিন। কিন্তু ওই দুদলের সঙ্গে জোট নিয়ে নিচুতলার সিপিএম কর্মীদের মধ্যেই সংশয় রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলা সম্মেলনগুলিতে থেকে যে নির্যাস রাজ‌্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাতে বলা হয়েছে, কংগ্রেস বা আইএসএফ সারা বছর আন্দোলনে সিপিএমের সঙ্গে থাকে না। অথচ ভোটের সময় এই দু’দলের সঙ্গে পার্টির সমঝোতা নিয়ে সিপিএম কর্মীরাই সংশয়ে। প্রতিবেদনে এটাও উঠে এসেছে যে, বুথ স্তরে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে ব‌্যর্থ পার্টি। আর এই বুথে দুর্বলতার সঙ্গেই রয়েছে নির্বাচনী বিপর্যয় ও জনসমর্থন হ্রাসের বিষয়টি। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় থাকাকালীন যাঁরা নেতা হয়েছিলেন, এখন বিরোধী দলে থাকায় তাঁদের লড়াইয়ের কোনও স্পৃহা নেই। বুথে লড়াই করার মতো নেতাই নেই। তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে বলে পার্টির অভিমত। তবে পার্টির তরুণ প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • একুশের বিধানসভা ভোটের পর সিপিএম এই রাজ্যে শূন্য।
  • তারপর আলিমুদ্দিনের তরফে ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করা হলেও ভোট যেমন কমেছে, সদস্য সংখ্যাও তেমনই হ্রাস পেয়েছে।
  • দলের সদস্যপদ পূনর্নবীকরণের শেষে এই তথ্য সামনে আসায় আলিমুদ্দিনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
Advertisement