সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলোয়াড় জীবনে যিনি কোনওদিন বিতর্কে জড়াননি, সেই ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha) নিয়েই তোলপাড় ভারতীয় ক্রিকেট। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। ঋদ্ধি যে বাদ পড়তে পারেন, তা জানা গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরত আসার পরেই।
একটি সংবাদ সংস্থার খবর ছিল, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের একটা প্রভাবশালী অংশ ঋদ্ধিমানকে জানিয়ে দিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দেশের মাঠে টেস্টে আর টিমে নেওয়া হবে না ঋদ্ধিকে। টিম নতুন রক্ত চায়, নতুন ব্যাকআপ কিপার চায়। ঋদ্ধিকে আর চায় না! ঠিক সেটাই ঘটেছে। আর তার পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট ফুটছে। ঋদ্ধিকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। এবার শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattyacharya) ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly)।
[আরও পড়ুন: ‘টেস্ট দল থেকে বাদ দিয়ে ঋদ্ধিমানকে অপমান করেছে BCCI’, ক্ষোভের আগুন শিলিগুড়িতে]
সৌরভ আর সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের সম্পর্কের কথা সবারই জানা। ঋদ্ধিমানের দল থেকে বাদ পড়ায় হতাশ অশোক ভট্টাচার্যও। সৌরভকে তিনি লিখেছেন, ”শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেট টিমে উইকেটরক্ষক হিসাবে ঋদ্ধিমান সাহাকে না দেখতে পেয়ে, কিছুটা হতাশা থেকেই তোমাকে এই চিঠি লেখা। তোমার মতো ঋদ্ধিমান (আমাদের পাপালি) নিয়েও আমাদের গর্ব। তোমাদের নিয়েই বাংলার আবেগ। ঋদ্ধিমানের টিম থেকে বাদ পড়াটা আমাদের কাছে খুবই দুঃখের। যেমন দুঃখ পেয়েছিলাম তুমিও যখন বঞ্চনা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল। তোমার কাছে সমগ্র শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গবাসীর একটাই অনুরোধ, ঋদ্ধিমান সাহার ভারতীয় ক্রিকেট টিম থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যায় কিনা তা দেখার। একেবারেই ব্যক্তিগতভাবে তোমাকে এই চিঠিটি লেখা।” যদিও সৌরভ ইডেনে অনুষ্ঠিত ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের শেষে বলেছেন, তিনি এই বিষয়ে কিছু বলবেন না। এবিষয়ে যা বলার নির্বাচকরা বলবেন।
শুধু দল থেকে বাদ পড়াই নয়, এক সাংবাদিক ‘হুমকি’ পর্যন্ত দিয়েছেন ঋদ্ধিমানকে। নাম না করে ওই সাংবাদিকের পাঠানো মেসেজের একটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বাংলার উইকেটকিপার। যেখানে তিনি জানান, দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে কোনও কথা বলতে না চাওয়ায় তাঁকে রীতিমতো এক সাংবাদিকের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। শেয়ার করা স্ক্রিনশটে লেখা, ঋদ্ধিমান ফোন না ধরায় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। আর তিনি অপমান হালকাভাবে নেন না।
আক্ষেপের সুরে পোস্টের ক্যাপশনে বাংলার উইকেটরক্ষক লেখেন, “ভারতীয় ক্রিকেটে এতদিনের অবদানের পর শেষে এই আমার প্রাপ্তি। একজন সম্মানীয় সাংবাদিকের থেকে এমন মেসেজ পেতে হচ্ছে। এই পথেই এগিয়েছে সাংবাদিকতা।” নেটদুনিয়ায় পোস্টটি ভাইরাল হতেই ঋদ্ধির সমর্থনে সুর চড়ান বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, হরভজন সিং, আরপি সিংরা। এবার আসরে নামছে বিসিসিআইও। গোটা বিষয় নিয়ে তদন্তে নামছে বোর্ড। সব মিলিয়ে চিরকাল বিতর্কের বাইরে থাকা ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়েই একন চলছে চর্চা।
[আরও পড়ুন: Wriddhiman Saha: ঋদ্ধিমানকে হুমকির খবরে বিস্মিত! সৌরভের হস্তক্ষেপের দাবি তুললেন শাস্ত্রী