সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: “তৃণমূলের যারা চুরি করে সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তাঁদের গলায় গামছা দিয়ে টাকা আদায় করা হবে। গরিব মানুষের টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে। পালিয়ে যাওয়ার কোনও রাস্তা থাকবে না”, এই ভাষাতেই প্রকাশ্য সভায় হুমকি দিলেন সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজ্য কমিটির সদস্য সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। পালটা দিল তৃণমূলও।
রবিবার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা গ্রামের ফুটবল মাঠে ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় পুরুলিয়া জেলা সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। তৃণমূলের ছোট থেকে বড় সমস্ত নেতাকে ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “তৃণমূলে পদ পেতে হলে টাকা দিতে হয়। পঞ্চায়েতে, পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে টাকা দিতে হয়।” তাই নির্বাচনে জেতার পরেই তৃণমূলের নেতারা যে টাকা দিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি মজুত করার চেষ্টাতেই চুরি-দুর্নীতি, এমনটাই দাবি করেন সুশান্ত।
[আরও পড়ুন: ‘ভুল’ বুঝে গণইস্তফা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল! পদত্যাগ করবেন না পঞ্চায়েতের ১১ জন]
এছাড়াও একদা মাওবাদী উপদ্রুত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ওই সিপিএম নেতা এদিন দাবি করেন, মাওবাদীদের নেতারা এই মুখ্যমন্ত্রীকেই ক্ষমতার চেয়ারে বসাতে চেয়েছিল। আর এখন অনেক মাওবাদী নেতা তৃণমূলের ব্লক, জেলা স্তরের নেতা হয়ে পড়েছেন। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্যের সম্পাদক তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “২০১৮ সালে যে ভাবে তৃণমূল বিরোধীশূন্য করার কথা বলে বামেদের মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি এইবার সেই পথে তৃণমূল গেলে খুব বড় ভূল করবে।” এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতি ইঞ্চিতে লড়াই হবে বলে জানান অমিয়। একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুশান্ত ঘোষও। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য বাসুদেব আচারিয়া।
এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুশান্ত ঘোষদের দলটাই তো শেষ হয়ে গিয়েছে, গলায় গামছাটা দেবেন কে? টি আর পি বাড়ানোর জন্য হুঙ্কার দিয়ে কিছু হবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে জনতা আছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে তা বোঝা যাবে।”