রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জনসংযোগে এবার দুয়ারে সিপিএম (CPM)। লাল ঝান্ডা নিয়ে বাড়ির দরজায় দরজায় যেতে পারেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম কিংবা সুজন চক্রবর্তীর মতো লাল পার্টির পরিচিত নেতারা। দেখলে হয়তো অনেকেই অবাক হবেন। এতদিন পাড়ার ‘কমরেড’রা বাড়ি বাড়ি ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। কিন্তু সময় বদলাচ্ছে। তাই পার্টির শীর্ষ নেতাদেরও কৌটো হাতে দেখা যাবে আমজনতার দরজায় (Door to door)।
দলীয় সূত্রে খবর, সাধারণ পার্টি-কর্মীদের পাশাপাশি শীর্ষ নেতাদেরও যেতে হবে জেলায়। ধৈর্য ধরে শুনতে হবে মানুষের কথা। অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি চলবে জনসংযোগও। এমনই বার্তা আলিমুদ্দিনের (Alimuddin)। আসল টার্গেট, রামের ভোট বামে ফিরিয়ে আনা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস ৬০ দিন ধরে বাড়ি বাড়ি ‘দিদির দূত’ পাঠানোয় বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে পালটা শীর্ষ কমরেডদের মাঠে নামাচ্ছে আলিমুদ্দিন। উল্লেখ্য, বিজেপিও ‘গ্রামে চলো’ ও ভোজ কর্মসূচি শুরু করছে।
[আরও পড়ুন: অযোগ্যদের জায়গায় যোগ্যদের নিয়োগ শুরু, শুক্রবারই নবম-দশমে ৬৫ জনকে সুপারিশপত্র]
কলকাতার কসবার (Kasba) বোসপুকুরে বিমান বসু ও যাদবপুরে (Jadavpur) এই কর্মসূচিতে পথে নেমেছিলেন সুজন চক্রবর্তী। বছরের প্রথম দিনে বালতি হাতে নিউ মার্কেটে (New Market) অর্থসংগ্রহে নামেন বিমান বসুর সঙ্গে মহম্মদ সেলিমও। সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য কল্লোল মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘জনসংযোগ চলছে। মানুষের সমস্যার কথা শুনছি। ইতিবাচক সাড়া মিলছে।’’
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2021) শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে সিপিএম তথা বামেদের। বামের ভোট রামে গিয়েছে। তাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া আলিমুদ্দিন। নিজের ভোট ফেরাতে রাজ্যজুড়েই মরিয়া হয়ে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেছে সিপিএম। ইতিমধ্যে গ্রামে গ্রামে জাঠা কর্মসূচিতে সাড়া মিলেছে বলে দাবি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের (Md. Selim)। পার্টি সূত্রে খবর, জনসমর্থন কোন পর্যায়ে তা জানতেই প্রধানত জনতার দুয়ারে পৌঁছনোর এই কর্মসূচি। প্রথম পর্যায়ের কর্মসূচি চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
[আরও পড়ুন: ‘আত্মনির্ভরতা’র পথে নয়া পদক্ষেপ! ৭৫০ জন ছাত্রীর তৈরি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে ISRO]
পার্টির চিঠিতেও দুটি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। এক, প্রচার জনগণের গভীরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে। দুই, বেশি করে পরিবারের সঙ্গে পার্টির যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। তিন, মানুষের সঙ্গে কথা বলে আদায়যোগ্য দাবিকে চিহ্নিত করে স্থানীয় স্তরে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।