শেখর চন্দ্র, আসানসোল: রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতার রং নিয়ে সরব হতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন সিপিএম (CPM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে দলীয় এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর মন্তব্য, ”এখন মুসলমান ভাড়া পাওয়া পাওয়া যায়। আর সাজতে হয় না।” উদয়পুরে দর্জিকে খুন, নুপুর শর্মা ইস্যু – একাধিক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তাঁর এহেন বিতর্কিত মন্তব্য রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার পশ্চিম বর্ধমানে জেলা সিপিএমের একটি কর্মসূচি ছিল। সেখানে যোগ দিতে আসানসোল (Asansol) যান মহম্মদ সেলিম (Md. Selim)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানা ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে কয়েক বছর আগে দক্ষিণ ভারতে বিজেপি (BJP) কার্যালয়ে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তাঁর বক্তব্য, ”সেবার তদন্ত করে দেখা গিয়েছিল, যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বাড়ি থেকে ফেজ টুপি, নকল দাড়ি উদ্ধার হয়। অর্থাৎ এসব পরিকল্পনা করেই ঘটানো, যাতে প্রমাণ করা যায় যে কোনও মুসলিমই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাই বলছি এখন মুসলমান ভাড়া পাওয়া যায়, সাজতে হয় না।”
[আরও পড়ুন: বিনা যুদ্ধে হার মানা নয়, স্পিকার নির্বাচনে শিণ্ডেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিল উদ্ধব সেনা]
মহম্মদ সেলিমের আরও বক্তব্য, “৯২ সাল থেকে আরএসএস সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে আসছে। আমি বলছি না যে কোনও মুসলমান এই কাজ করতে পারে না। মোদীর যুগে এই বিপদটা আরও বেড়েছে। আমাদের রাজ্যে আরও বিপদ। কারণ, তৃণমূলের মারফত অনেক ভাড়াটে গুন্ডা এরকম তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই জন্য সাবধানে থাকতে হবে।”
[আরও পড়ুন: চলতি মাসেই শুরু অনলাইনে কলেজে ভরতির প্রক্রিয়া, দিনক্ষণ জানিয়ে দিল উচ্চ শিক্ষা দপ্তর]
এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিশ্ব সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও টানেন। কোন দেশে কোন সংখ্যালঘু ধর্মকে সাম্প্রদায়িকতার কাজে ব্যবহার করা হয়, তার উদাহরণ দেন। এমনকী শান্তির সর্বোচ্চ প্রতীক বৌদ্ধ ধর্মকেও কীভাবে রোহিঙ্গা (Rohingya) মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হয়েছিল, মায়ানমারের প্রসঙ্গ তুলে তাও উল্লেখ করেন। এরপর নূপুর শর্মা নিয়েও মন্তব্য করেন সেলিম। প্রশ্ন তোলেন কেন এখনও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল না।