বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। তিনি দল ও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে শেষ কথা বলেন। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছে পার্টি। অথচ পার্টিতেই মহিলা সদস্য সংখ্যা তলানিতে। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই মহিলা অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ধরা পড়েছে। স্বীকার করল সিপিএম (CPM)। দলের কলকাতা জেলা সম্মেলনে যে প্রতিবেদন পেশ করা হবে তাতেই ব্যর্থতার কথা স্বীকার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পার্টির সদস্যদের সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
সম্মেলনে যে প্রতিবেদন পেশ করা হবে তার ৫৩ নম্বর পাতায় মহিলা সদস্য প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের সাংগঠনিক প্লেনামে মহিলা সদস্য অন্তর্ভুক্তি নিয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তার ধারেকাছেও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। প্লেনামের নির্দেশ ছিল পার্টিতে মোট সদস্যের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ মহিলা হতে হবে। কিন্তু কলকাতা জেলার ক্ষেত্রে তা ১২ শতাংশের একটু বেশি। সাংগঠনিক দুর্বলতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বের অনীহার কারণেই করুণ দশা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পুরনির্বাচনে ভরাডুবি, চিন্তন বৈঠকের ডাক বঙ্গ বিজেপির]
বস্তুত, দলে মহিলে মুখের অভাব দীর্ঘদিন ধরেই ভোগাচ্ছে সিপিএমকে। দেবলীনা হেমব্রমের মতো কিছু নেত্রীকে লাইমলাইটে আনার চেষ্টা করেও সাফল্য পায়নি সিপিএম। এই প্রজন্মের নেত্রীদের মধ্যে মীনাক্ষী (Meenakshi Mukherjee), ঐশী বা দীপ্সিতারাও গত বিধানসভা নির্বাচনে তেমন সফল হননি। তবে, মমতার বিরুদ্ধে লড়তে ভালমানের মহিলা নেত্রী যে প্রয়োজন, সেটা ভালমতোই বুঝতে পারছেন কমরেডকুলের শিরোমণিরা। সেকারণেই কলকাতা জেলা সম্মেলনে মহিলা সদস্য সংগ্রহ নিয়ে আলোচনা করতে পারে সিপিএম।
[আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের বড় সাফল্য, এলগিন রোডে ব্যবসায়ী খুনে আহমেদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে পার্টির সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও কড়া সমালোচনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ৫৭ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, পার্টির অনেক সদস্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় কলহে জড়িয়ে পড়ছেন। এমন মন্তব্য করছেন যা পার্টি বিরোধী। কমিউনিস্ট সুলভ আচরণের পরিপন্থী। অনেককে সতর্ক করা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে পার্টি সদস্যদের সতর্ক থাকতে হবে বলে প্রতিবেদনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।