সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাটকীয় পট পরিবর্তন! নেপালের (Nepal) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেন মাওবাদী নেতা পুষ্পকুমার দাহাল ওরফে প্রচণ্ড (Prachanda)। রবিবার সন্ধেয় তাঁকে এই পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারি। সোমবার বিকেল ৪টেয় তিনি শপথ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে তৃতীয় বার তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।
এদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান ৬৮ বছরের প্রচণ্ড। এরপর বিকেলে প্রেসিডেন্টের বেঁধে দেওয়া ডেডলাইন মেনে ৫টার আগেই আবেদন জমা দেন। তার আগেই নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে তাঁদের দলের পাশাপাশি আরএসপি ও অন্যান্য ছোট দলগুলিও উপস্থিত ছিল।
[আরও পড়ুন: স্রেফ টি-শার্ট ভাঁজ করেই বিশ্বরেকর্ড! গিনেস বুকে নাম তুলে তাক লাগালেন এই যুবক]
১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে জন্ম প্রচণ্ডের। প্রায় ১৩ বছর তিনি লুকিয়ে ছিলেন। পরে মূলধারার রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ। এর আগে দু’বার তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব সামলেছেন। ফের যে তিনি মসনদে বসতে চলেছেন সেই সম্ভাবনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। যদিও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস তথা নেপাল পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে তাঁর দলের আসন ছিল মাত্র ৩২টি। কিন্তু প্রচণ্ড দাবি করেছিলেন অন্য দলের সদস্যদের সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকে। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়। যা সত্য়ি হল রবিবার।
২৭৫ সদস্যের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রচণ্ডের পক্ষে রয়েছে ১৬৫ জনের সমর্থন। তিনি ও ওলি পালা করে প্রধানমন্ত্রী হবেন। প্রথম দফায় প্রচণ্ডের মেয়াদ শেষ হলে ওই পদে বসবেন ওলি। গত নভেম্বরেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন শের বাহাদুর দেউবা। তাঁর দল নেপালি কংগ্রেস ৮৯টি আসনে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘চিনপন্থী’ ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মসনদে ফিরলেন প্রচণ্ড। দুই বিরোধী জোটের হাত মেলানোয় নয়া সমীকরণ জন্ম নিল ভারতের প্রতিবেশী দেশে।