সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বয়কট। এবার গোটা ম্যাচ নয়, সাংবাদিক সম্মেলন। রবিবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত-পাক মহারণ। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে কোনও পাক ক্রিকেটার আসেননি। বদলে পাকিস্তান ক্রিকেটাররা নাকি একজন 'মোটিভেশনাল স্পিকারে'র অধীনে ক্লাস করবেন।
এশিয়া কাপ ‘বয়কট’ নিয়ে অনেক গর্জন তর্জন করেছে পাকিস্তান। কিন্তু হুঙ্কারই সার! আমিরশাহী ম্যাচের আগে বিস্তর নাটক করলেও বয়কটের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারেনি। তবে আমিরশাহীর বিরুদ্ধে খেলার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেননি কোনও পাক ক্রিকেটার। রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেও একই ছবি ধরা পড়ল। এদিনও সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন না কোনও পাক ক্রিকেটার। সম্ভবত এটাই তাঁদের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’। অর্থাৎ ম্যাচের বদলে সাংবাদিক সম্মেলন ‘বয়কট’।
যদিও সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, পাকিস্তান দল এখন সুপার ফোরের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। শোনা যাচ্ছে, পিসিবির তরফে ক্রিকেটারদের তাতাতে একজন মোটিভেশনাল স্পিকার নিয়োগ করেছে। ডঃ রহিল করিমের ক্লাসে সাইম আয়ুব, আগা সলমনরা মানসিক শক্তিবৃদ্ধির ক্লাস নেবেন। আসলে প্রথম ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর পাক ক্রিকেটারদের মনোবল তলানিতে। বস্তুত চলতি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভালো ফর্মে নেই পাক দল। দুই দুর্বল প্রতিপক্ষকে হারালেও পারফরম্যান্স সেভাবে নজর কাড়েনি। তাছাড়া মাঠের বাইরের নানা বিতর্কও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মনোবল ধরে রাখাটা সত্যিই চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেই মনোবিদ নিয়োগ করেছে পিসিবি।
আসলে এশিয়া কাপ এখন পাকিস্তানের জন্য শাখের করাত। একটা সময় ভারত ওই টুর্নামেন্ট বয়কট করবে বলে শোনা যাচ্ছিল। খেলার মাঠে তো ভারতের কাছে হারছেই পাক দল, সেই সঙ্গে মাঠের বাইরের খেলাতেও নাস্তানাবুদ পিসিবি। যেভাবে প্রথম ম্যাচের পর ভারতীয় ক্রিকেটাররা করমর্দন করতে অস্বীকার করেছেন এবং পরে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব জয় পহেলগাঁওয়ে মৃতদের পরিবারকে উৎসর্গ করেছেন, তাতে রাজনৈতিকভাবে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে পাকিস্তান। সে দেশের আমজনতার একটা বড় অংশ এখন মনে করছে, এশিয়া কাপ খেলতে গিয়ে আসলে অপমানিতই হতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। এই পরিস্থিতিতে কোনও না কোনওভাবে 'প্রতিবাদ' দেখিয়ে যেতে হবে পাক দলকে। আর মাঠের ভিতরের লড়াইয়েও জিততে হবে।
