সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হয়েছিল তিলক বর্মাকে (Tilak Varma)। সেই তিনি এশিয়া কাপে দুরন্ত খেলেছেন। অথচ বছর তিন আগে বিরল রোগ র্যাবডোমায়োলাইসিসের কবলে পড়ে একে একে বিকল হয়ে যাচ্ছিল তাঁর শরীরের পেশি। আঙুলও ঠিকমতো নাড়াচাড়া করতে পারতেন না। জীবনের সেই কঠিন সময়ের গল্প শোনালেন টিম ইন্ডিয়ার এই তারকা।
গৌরব কাপুরের চ্যাট শো ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন্সে প্রথমবার নিজের অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিলক। তিনি বলেন, "প্রথম বার আইপিএল খেলার পর আমার শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। র্যাবডোমায়োলাইসিস নামে একটা অসুখ ধরা পড়ে আমার। কিছুই ঠিকমতো করতে পারছিলাম না। আমার গোটা শরীর যেন অবশ হয়ে গিয়েছিল। এমনকী আঙুলগুলোও নাড়াতে পারছিলাম না।"
তিনি আরও বলেন, "এমন একটা সময় এই রোগ ধরা পড়ে, যখন আমি ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি। সেই সময় আমি নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছিলাম। বিভিন্ন প্রস্তুতি শিবিরেও যাচ্ছি। ভারতীয় 'এ' দলের হয়ে সিরিজও খেলছি। পাশাপাশি টেস্ট দলে জায়গা করে নেওয়ার দিকেও মনোযোগ দিচ্ছিলাম। আমার ফিটনেস যাতে ঠিক থাকে, সে কথাই সব সময় ভাবতাম। বিশ্রামের দিনও জিমে যেতাম। আমি সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড় এবং সেরা ফিল্ডার হতে চেয়েছিলাম। প্রথম দিকে সমস্যার কথা অতটা ভাবিওনি। অতিরিক্ত পরিশ্রম করতাম। ফলে আমার পেশির উপর অত্যধিক চাপ পড়ে। শিরাগুলিও শক্ত হয়ে যাচ্ছিল।"
বাংলাদেশ 'এ' সিরিজের চলাকালীন এক ভয়াবহ মুহূর্তের কথাও স্মরণ করে তিলক বলেন, "আমি সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমার চোখ দিয়ে জল বের হতে শুরু করে। এমনকী আঙুল নাড়াচাড়া করতে পারছিলাম না। আঙুল শক্ত হয়ে যাওয়ায় গ্লাভস খোলা যাচ্ছিল না। কেটে গ্লাভস খুলতে হয়।"
সেই কঠিন সময় বাঁ-হাতি ব্যাটার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অন্যতম কর্ণধার আকাশ আম্বানিকে পাশে পেয়েছিলেন। আইসিসি প্রধান জয় শাহকেও ধন্যবাদ জানান, "আকাশ আম্বানি এবং জয় শাহকে ধন্যবাদ। অসুস্থ হওয়ার পর আকাশের ফোন পাই। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথাও বলেন। আমাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, কয়েক ঘণ্টা দেরি হলে বিপজ্জনক হতে পারত। পেশি এতটাই শক্ত হয়ে গিয়েছিল যে, ইনজেকশন দেওয়ার সময় আইভি সুচ পর্যন্ত ঢুকছিল না। শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। এই সময়ে আমার মা সব সময় আমার সঙ্গে ছিলেন।"
