সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৯ মার্চ শনিবার গুয়াহাটিতে হওয়ার কথা ছিল বিসিসিআইয়ের বৈঠক। বোর্ড সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া, নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর এবং ভারতীয় দলের হেডকোচ গৌতম গম্ভীরের হাজির থাকার কথা ছিল এই বৈঠকে। রোহিত শর্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন তাঁরা। এমনই জানা গিয়েছিল। তবে আপাতত সেই বৈঠক হচ্ছে না। কবে এই বৈঠক হবে, তা এখনও জানা যায়নি।

রোহিত না থাকলে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন কে? এই নিয়ে জল্পনা চলছে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলে। অজি সফরে রোহিতের অনুপস্থিতিতে ভারতের অধিনায়কত্ব সামলেছিলেন জশপ্রীত বুমরাহ। কিন্তু চোট সমস্যায় জেরবার তিনি। পিঠের চোটে কাবু হয়ে আইপিএলেও এখনও পর্যন্ত খেলতে পারেননি। তাঁকেই কি ফের সাদা জার্সিতে অধিনায়কত্ব করতে দেখা যাবে? নাকি অন্য কাউকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বৈঠকে বসার কথা ছিল বিসিসিআইয়ের। আপাতত বৈঠক স্থগিত হওয়ায় এর উত্তর পেতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
বোর্ডের বৈঠকে বার্ষিক চুক্তি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। শ্রেয়স আইয়ার এবং ঈশান কিষানের নাম আবার বিসিসিআইয়ের বার্ষিক চুক্তিতে রাখা হবে কিনা, সেই তথ্য উঠে আসত এই সভায়। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ছিল, তাঁদের সাম্প্রতিক ফর্মের পুরস্কার হিসেবে বোর্ডের বার্ষিক চুক্তির আওতায় ফের ঢুকে পড়বেন তাঁরা। এ ব্যাপারে আরেকটি নতুন নাম নিশ্চিত হয়েছে। তিনি বরুণ চক্রবর্তী। ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের ট্রাম্প কার্ড ছিলেন। নিয়েছিলেন ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট। তবে আপাতত যা শোনা গিয়েছে, বিরাট কোহলি, জশপ্রীত বুমরাহ এবং রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে রোহিত শর্মাকে রাখা হতে চলেছে এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে। তবে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
লাল বলের ক্রিকেটে রোহিতের সাম্প্রতিক ফর্ম হতাশাজনক। শেষ ১০ টেস্টে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১৬৪ রান। ফর্ম এতটাই খারাপ যে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির একটি ম্যাচে রোহিত নিজেকেই বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই ফের তাঁর হাতে নেতৃত্ব দেওয়া হবে কিনা, সেটা নিয়ে বোর্ডের অন্দরে বিস্তর দ্বিমত ছিল। এহেন পরিস্থিতিতে রোহিত নিজেই নাকি ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন এমন কথাও শোনা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে টিম ইন্ডিয়া। সিরিজ শুরু ২০ জুন, লিডসে।