প্রথম ইনিংস
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭৪/১০ (স্মিথ ১৪০, বুমরাহ ৯৯/৪)
ভারত: ৩৬৯/১০ (নীতীশ ১১৪, বোলান্ড ৫৭/৩)
দ্বিতীয় ইনিংস
অস্ট্রেলিয়া: ২৩৪/১০ (লাবুশেন ৭০, বুমরাহ ৫৭/৫)
ভারত: ১৫৫/১০ (যশস্বী ৮৪, কামিন্স ২৮/৩)
অস্ট্রেলিয়া ১৮৪ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেলবোর্ন টেস্টে হার এড়াতে পারল না ভারত। যশস্বী-সুন্দরের অদম্য লড়াই সত্ত্বেও বিরাট ব্যবধানে হারল টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতেও পিছিয়ে পড়ল ১-২ ব্যবধানে। দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত শর্মাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৫৫ রানে। যার মধ্যে একা যশস্বীরই রান ৮৪। শেষ পর্যন্ত ভারত হারল ১৮৪ রানে।
জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৪০ রান। লক্ষ্যটা যে অত্যন্ত কঠিন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু টেস্ট বাঁচানোর জন্যও কি লড়াই করা যেত না? একমাত্র যশস্বী ছাড়া কেউই অজি বোলিংকে সামলাতে পারলেন না। তাও তিনি ফিরে গেলেন থার্ড আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। যশস্বী থাকলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। কিন্তু বাকিরা? ঋষভ পন্থ লড়েছিলেন বেশ খানিকক্ষণ। সেই ডাকাবুকো পন্থ নয়, মেলবোর্নে পঞ্চম দিনের পন্থ যেন পূজারা, লক্ষ্মণের ভাবশিষ্য। কিন্তু ট্র্যাভিস হেডের একটা লোভনীয় বল, আর তুলতে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট। তখন ১২১ রান তুলে দিব্যি আশ্বস্ত দেখাচ্ছিল ভারতের স্কোরবোর্ড। আশা করা গিয়েছিল, টেস্ট জয় না হোক, অন্তত ড্র করা যাবে।এমনকী ওয়ানডে-র ছন্দে খেললে জয়ও অসম্ভব নয়। ঠিক তখনই পন্থ (৩০) আউট হয়ে গেলেন।
অবশ্য বিপর্যয় শুরু হয়েছিল সকাল থেকেই। মেলবোর্নে চতুর্থ দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮। শেষ উইকেটে উঠেছিল ৫৫ রান। পঞ্চম দিনে অবশ্য সেটা আর বেশি দূর এগোয়নি। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৩৪ রানে। ৫ উইকেট তোলেন জশপ্রীত বুমরাহ। তাতেও ভারতের জন্য ৩৪০ রানের বিরাট লক্ষ্য রেখেছিল অজিরা। যদিও দরকার ছিল ভালো শুরু। কামিন্সের বল চালাতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন রোহিত (৯)। ওই ওভারেই কামিন্স আউট করলেন কেএল রাহুলকে (০)। দুই উইকেট হারিয়ে তখন প্রবল চাপে ভারত। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব যিনি নিতে পারতেন, সেই বিরাট কোহলিও ফিরলেন মাত্র ৫ রানে। আর সেই অফ স্ট্যাম্পের বলে খোঁচা দিয়ে।
সেখান থেকে যশস্বী-পন্থ জুটি ভারতের ইনিংস টানতে থাকে। কিন্তু পন্থ ফিরতেই শুধু যাওয়া-আসা ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপে। একা কুম্ভ হয়ে দেখে গেলেন যশস্বী। জাদেজা ফিরলেন ২ রানে। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরির নায়ক নীতীশ কুমার রেড্ডির এদিনের সংগ্রহ মাত্র ১। তারপর বাংলাদেশি থার্ড আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন যশস্বী। ভারতের ম্যাচ বাঁচানোর আশা ওখানেই শেষ হয়ে যায়। ৪৫ বলে ৫ রান করে একটা দিক সামাল দিচ্ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু জশপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজের আউট হতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। শেষ পর্যন্ত ভারত হারে ১৮৪ রানে।
বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। পরের টেস্ট সিডনিতে। সেখানে অন্তত সিরিজ ড্র করার জন্য লড়াইয়ে নামবে রোহিতের টিম ইন্ডিয়া।