নয়াদিল্লি: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকরের সঙ্গে জাতীয় দলের বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীরের গভীর মিত্রতার খবর না থাকলেও ‘শত্রুতা’র খবরও কখনও ছিল না। তা, সেই মঞ্জরেকরই যে গম্ভীরকে এ ভাবে অতর্কিত আক্রমণ করে বসবেন, কে জানত! কে জানত, মঞ্জরেকর সরাসরি গম্ভীরের প্রকাশ্য আচার-আচরণ, কথাবার্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেবেন! বলে দেবেন যে, গম্ভীরকে সাংবাদিক সম্মেলন করতেই পাঠানো উচিত নয়! কারণ, মিডিয়ার সামনে কী ভাবে কথা বলতে, কী রকম আচরণ করতে হয়, তা তিনি জানেন না!
আসলে রেখেঢেকে কিংবা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বলতে কোনও কালেই পছন্দ করেন না গম্ভীর। খেলতেন যখন, তখনও সোজাসাপ্টা ছিলেন। আজও তাই। যে কারণে প্রায়শই তাঁকে চাঁচাছোলা ভাষায় কথা বলতে দেখা যায়, যা কি না অধুনা পেশাদারি ক্রিকেট পৃথিবীর অভিধান বিরুদ্ধ। সোমবারও অস্ট্রেলিয়া রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বসে ঝাঁঝালো জবাব দিতে দেখা গিয়েছে গম্ভীরকে। রিকি পন্টিং সংক্রান্ত প্রশ্নে। যেখানে সম্প্রতি কোহলির পড়তি ফর্ম প্রসঙ্গে পন্টিংয়ের মতামত নিয়ে ভারতীয় কোচকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সোজা বলে দেন, ‘‘পন্টিং অস্ট্রেলিয়া নিয়ে ভাবুক! ভারতীয় দল নিয়ে এত তো ওর ভাবার প্রয়োজন নেই।’’ অনেকেরই মনে হচ্ছে, মঞ্জরেকরের মন্তব্য গম্ভীরের সেই বিতর্কিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে। কারণ, গম্ভীরের সাংবাদিক সম্মেলন শেষের পরই মঞ্জরেকর টুইটারে (বর্তমানে এক্স) লিখে দেন, ‘গম্ভীরের প্রেস কনফারেন্স দেখলাম। আমার মনে হয়, বোর্ডের উচিত গম্ভীরকে প্রেস কনফারেন্সে আসতে না দেওয়া। ও বরং পিছনে থেকে দলের জন্য কাজ করুক। মিডিয়ার সামনে রোহিত কিংবা আগরকরকে আনলেই ভালো। কারণ, মিডিয়ার সঙ্গে কী ভাবে কথা বলতে হয়, তা গম্ভীর জানে না। ওর আচার-আচরণও ঠিক নয়।’
ঘটনা হল, মঞ্জরেকরের এ ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য নতুন নয়। ভারতীয় টিমের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর অতীতেও লেগেছে। একবার তিনি রবীন্দ্র জাদেজাকে ‘বিটস অ্যান্ড পিসেস ক্রিকেটার’ বলে তীব্র বিতর্ক বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন। যার পর জাদেজাও তাঁকে কড়া ভাবে আক্রমণ করেছিলেন। এবার মঞ্জরেকরের নিশানায় ‘গুরু গম্ভীর’। দেখার, জাদেজার মতো তিনিও আগামীতে মঞ্জরেকরকে পাল্টা উত্তর দেন কি না?