ভারত: ২১৯/৬ (তিলক ১০৭*, অভিষেক ৫০)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০৮/৭ (জানসেন ৫৪, ক্লাসেন ৪১, অর্শদীপ ৩/৩৭)
১১ রানে জয়ী ভারত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য দুলেছে পেন্ডুলামের মতো। অবশেষে রক্তচাপ বাড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয় পেল ভারত। এদিন প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিলক বর্মা। তাঁর দাপটেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে নিল মেন ইন ব্লু।
চার ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এদিন মাঠে নেমেছিল দুই দল। প্রথম দুই ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছে দুপক্ষই। বুধবার জিতে গেলে সিরিজ হার এড়ানো যাবে, সেই মানসিকতা নিয়েই এদিন ব্যাট করতে নামেন তিলক বর্মা-অভিষেক শর্মারা। তবে ভারতীয় টপ অর্ডারের মতো দাপুটে ব্যাটিং ধরা পড়ল না দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। ভারতীয় বোলারদের সামনে গুটিয়ে গেল প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন আপ। হেনরিখ ক্লাসেন এবং মার্কো জানসেন মরিয়া চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না।
এদিন টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এডেন মার্করাম। তবে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব জানান, প্রথমে ব্যাট করতেই আগ্রহী ছিল দল। অধিনায়কের সেই কথাকেই পূর্ণ মর্যাদা দিলেন তিলক-অভিষেকরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এদিন প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিলক। মাত্র ৫৬ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তরুণ তুর্কি। ৮টি চার এবং ৭টি ছক্কা মারেন তিনি। অন্যদিকে ২৫ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস আসে অভিষেকের ব্যাট থেকেও। তাঁদের ১০৬ রানের জুটিতে ভর করেই ২০ ওভারের শেষে ২১৯ রান তোলে ভারত, ৬ উইকেট খুইয়ে।
বিরাট রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই খানিক ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র এক ওভার ব্যাট করার পরেই পিঁপড়ের দাপটে প্রায় আধঘণ্টা খেলা বন্ধ রাখতে হয়। তার পর থেকেই একের পর এক উইকেট খোয়াতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্লাসেন ছাড়া কেউই সেভাবে ভারতীয় বোলারদের আক্রমণ করতে পারেননি। পেসার হোক বা স্পিনার- প্রোটিয়া ব্যাটিংকে সমস্যায় ফেলেছেন ভারতের প্রত্যেক বোলারই। একেবারে শেষ প্রান্তে এসে দুরন্ত ক্যামিও ইনিংস খেলেন মার্কো জানসেন। প্রথমবার টি-২০তে হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না প্রোটিয়া ব্রিগেডের। ১১ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত।