সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে খেলা হচ্ছে ডিউক বল দিয়ে। যদিও অ্যান্ডারসন-তেণ্ডুলকর ট্রফিতে এই বলের ব্যবহার নিয়ে নানান চর্চা হয়েছে। তৃতীয় টেস্টের আগেও চর্চায় ডিউক বল। আগের টেস্টগুলোয় দেখা গিয়েছে, বলের আকার খুব দ্রুত বদল হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও বল দ্রুত নরম হয়ে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। লর্ডসে তৃতীয় টেস্টের আগে যা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়কের কথাতেই সেটা স্পষ্ট। যদিও প্রস্তুতকারী সংস্থা পন্থের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
ঋষভ পন্থের মন্তব্য, "এই বলের আকার খুব তাড়াতাড়ি বিকৃত হয়ে যায়। আগে কিন্তু কখনও এমন দেখিনি। যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে ব্যাপারটা খুবই বিরক্তিকর। কারণ প্রত্যেক বল আলাদাভাবে খেলতে হয়। কখনও না কখনও তো মনে হয় বল বেশি নরম হয়ে যাচ্ছে। আবার বল পরিবর্তন করলে মনে হয়, অন্য রকম হয়ে যাচ্ছে। এটা ক্রিকেটের জন্য মোটেও ভালো নয়।"
পন্থের সংযোজন, "আমরাই একমাত্র দল নই, যারা এই সমস্যার সম্মুখীন। অন্যান্য সফরকারী দলগুলি যখনই এখানে আসে, তখনও বল নরম এবং আকৃতিহীন হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। আমি নিশ্চিত নই, যে রিংগুলি ব্যবহার করা হয়, তা স্ট্যান্ডার্ড ডিউকস রিং কি না।"
উল্লেখ্য, পন্থের আগেও ডিউক বল নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক শুভমান গিল। অভিযোগের সুরে তিনি বলেছিলেন, "এই বল পিচের চেয়েও দ্রুত তার আকৃতি হারাচ্ছে। নরমও হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি। এমন হলে প্রথম ২০ ওভারেই হয়তো সাহায্য পাবে বোলাররা।" এবার এই ইস্যুতে অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ডেপুটি। যদিও ডিউক বলের নির্মাতা দিলীপ জাজোদিয়া পন্থের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, এই বলে কোনও সমস্যা নেই।
জাজোদিয়া বলেন, "এখন তো দেখছি বল নিয়ে সমালোচনা করা একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উইকেট নিতে না পারলে তো আম্পায়ারদের উপর চাপ তৈরি করা হয়। অথচ বোলারদের দক্ষতা বা উইকেটের মান নিয়ে কেউ কোনও কথাই বলে না। উইকেটে পাঁচটা সেঞ্চুরি হচ্ছে আর দোষ দেওয়া হচ্ছে বলকে। ৮০ ওভার পর নতুন বল নেওয়া হয়। মনে হয়, এই নিয়মের বদল করা প্রয়োজন। ৮০ ওভারের পরিবর্তে ৬০-৭০ ওভারে বল পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবা উচিত। তবে কেউ যদি মনে করে বল অতক্ষণ শক্ত থাকবে, সেটা তো আর হতে পারে না।" প্রসঙ্গত, সিরিজের ফলাফল আপাতত ১-১। লিডসে হারলেও এজবাস্টনে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে শুভমান গিলের টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজের সমতায় ফিরেছে ভারত। তৃতীয় টেস্টের একদিন আগে দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। প্রত্যাশামতোই দলে সুযোগ পেয়েছেন তারকা পেসার জোফ্রা আর্চার। অন্যদিকে, ভারতীয় দলের প্রথম এগারোয় দেখা যেতে পারে জশপ্রীত বুমরাহকে।
