সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিউক বল নিয়ে বিতর্ক (Dukes Ball Controversy) অব্যাহত। সাংবাদিক সম্মেলনে ঋষভ পন্থ, লর্ডসে টেস্ট চলাকালীন শুভমান গিল, মহম্মদ সিরাজরা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ম্যাচের দশ ওভারের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে, বলের আকার পরিবর্তিত হয়ে পুরনো হচ্ছে। সেই বিতর্কে ফের দায় ঝেড়ে ফেলল ডিউক বল প্রস্তুতকারক সংস্থা। কখনও তাদের যুক্তিতে পরিবেশ, কখনও বা গিলের পারফরম্যান্স। কখনও-বা বলেই দিলেন, এরকম বল বানাতে পারলে সবাই বানাত।
লর্ডসে দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের ৮০তম ওভারে। সেই বলে মাত্র ১০ ওভার খেলা হয়েছিল। তারপরই বলের যা অবস্থা দাঁড়ায়, তাতে রীতিমতো অসন্তুষ্ট ভারতীয় শিবির। ডিউক বল তখন পুরনো বলের মতো আচরণ করছে। কিন্তু ডিউক বলের নির্মাতা দিলীপ জাজোদিয়ার বক্তব্য, "বিশ্ব ক্রিকেটে তিনটি সংস্থা বল তৈরি করে- ডিউক, এসজি ও কোকাবুরা। বল বানানো অতো সহজ নয়, তাহলে শত শত সংস্থা বল বানাত। যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে আমরা ভেবে দেখব। কিন্তু সমালোচনা করার আগে সাবধান থাকা উচিত। তাতে অনেকের চাকরি সমস্যায় পড়তে পারে।"
কিন্তু কেন ডিউক বলের চেহারা বদলে যাচ্ছে? জাজোদিয়ার বক্তব্য, "আমরা সব মাপকাঠি মেনে বল তৈরি করি। আমাদের বলে কোনও সমস্যা নেই। চামড়া, কর্ক আর রাবারের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে বল তৈরি করা হয়। আমাদের টেকনিক্যাল দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গাই নেই। কিন্তু আবহাওয়া কেমন থাকবে, সেটা আমাদের বল বানানোর সময় বিবেচ্য থাকে না। কিংবা ব্যাটারদের ব্যাটের ওজন কতটা, সেসব নিয়েও কোনও মাপকাঠি নেই।"
সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "বল যে ৮০ ওভার টিকছে এই অনেক। সবাইকে সম্মান করে বলছি, ভারত শেষ ম্যাচ জিতেছে। তাদের অধিনায়ক সবচেয়ে বেশি রান করেছে। দুজন বোলার ৬টা করে উইকেট পেয়েছে। কোনও সমস্যা হলে দুঃখিত। কিন্তু ক্রিকেট ঠিক পথেই চলছে।" তিনি যাই বলুন না কেন, ডিউক বল নিয়ে যেভাবে সমালোচনার পারদ চড়ছে, তাতে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
