সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবর আজমকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার তীব্র সমালোচনা করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। তার জেরে বোর্ডের শোকজ নোটিস ধরানো হয় তারকা পাকিস্তানি ব্যাটারকে। এখানেই শেষ নয়। এবার তারকা ব্যাটার ফখর জামানকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেই ছেঁটে ফেলল পিসিবি। সঙ্গে বোর্ডের শীর্ষ কর্তা মহসিন নকভি সাফ জানিয়ে দেন, ফখরের সোশাল মিডিয়ার কার্যকলাপ নিয়ে যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে পিসিবির।
ইংল্যান্ডের পরে জিম্বাবোয়ে সিরিজের দল থেকেও বাদ পড়েছেন বাবর আজম। থ্রি লায়ন্সের বিরুদ্ধে টেস্ট থেকে বাবর বাদ পড়ার পরেই ফখর সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, “বাবরকে বাদ দেওয়ার ঘটনা চিন্তাজনক। ভারত তো বিরাটকে বসায়নি, যখন ২০২০ থেকে ২০২৩-র মধ্যে বিরাটের গড় কম ছিল। যদি আমরা আমাদের সেরা ব্যাটার, বলতে গেলে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটারকে বসিয়ে দিই, তাহলে সেটা নেতিবাচক বার্তা পাঠায়।” তার পরেই ফখরকে শোকজ নোটিস পাঠায় পিসিবি।
এই ঘটনার দিনকয়েক পরেই কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেছে পাক বোর্ড। সেখানে ঠাঁই হয়নি ফখরের। অথচ ৩৪ বছর বয়সি এই ব্যাটার মাসকয়েক আগেও খেলেছেন পাকিস্তানের জার্সিতে। আট বছর ধরে ফখর পাক বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার ছিলেন। গত চুক্তিতেও বি গ্রেডে ছিলেন ফখর। তবে পাক বোর্ডকে তুলোধনা করার পরেই চুক্তি থেকে সটান ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাঁকে। এছাড়াও ইফতিকার আহমেদ, হাসান আলি, সরফরাজ আহমেদ এবং ইমাম-উল-হক বাদ পড়েছেন চুক্তি থেকে।
কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ্যে আসার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "ফখরের টুইট অবশ্যই সমস্যার কারণ। নির্বাচকরা যদি একজন ক্রিকেটারকে বাদ দেন, তাহলে বাকি ক্রিকেটাররা অসন্তোষ প্রকাশ করবেন এমনটা তো হতে পারে না। এমন আচরণ মোটেও বরদাস্ত করা যায় না। ফখরকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছিল, সেটারও জবাব আসেনি।" তবে নকভির দাবি, ফিটনেসের কারণেই দল এবং চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ফখর।