সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সানগ্লাস, পুরনো হ্যাট, আর পুরুষ্ট গোঁফের জ্যাক রাসেলকে মনে আছে? ইংল্যান্ডের হয়ে এককালে যিনি স্টাম্পের পিছনে দাঁড়াতেন? নয়ের দশকে ক্রিকেট নিয়মিত দেখেছেন যাঁরা, রাসেলকে ভোলা তাঁদের উচিত নয়। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে শুধু অন্যতম শ্রেষ্ঠ উইকেটকিপারই ছিলেন না রাসেল, তাঁর ব্যাটিং স্টাইলও বড় অদ্ভুত ছিল।
তা, সেই একষট্টি বছরের জ্যাক রাসেল এখন আর ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কই রাখেন না! ক্রিকেট মাঠে দেখতেও পাওয়া যায় না তাঁকে। পাওয়া সম্ভব কী করে? রাসেলকে যে এখন পাওয়া যায় লন্ডনের ক্রিস বিটলস গ্যালারিতে! তিনি যে এখন পুরোদস্তুর চিত্রকর! রাসেল এখন ডগলাস জার্ডিনের ছবি আঁকেন। রনজিৎ সিংজির ছবি আঁকেন। এবং তাঁর ছবি হাজার-হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়! "প্রত্যেক বছর আমি চেষ্টা করি ঐতিহাসিক কোনও চরিত্রের ছবি আঁকার। গত বছর আমি অ্যাশেজের বিতর্কিত চরিত্র, প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ডগলাস জার্ডিনের ছবি এঁকেছিলাম। এ বছর ইংল্যান্ডে ভারত খেলতে এসেছে। তাই ভাবলাম, রনজিৎ সিংজির ছবি আঁকি। কারণ, ওঁর চরিত্র সম্পর্কে যদি আপনি খোঁজখবর নেন, বুঝতে পারবেন কতটা রঙিন মানুষ ছিলেন উনি," বুধবার বলে দিয়েছেন রাসেল।
১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর কাউন্টি ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন ২০০৪ সালে। "কুড়ি বছরের বেশি ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক নেই আমার। এখন ছবি আঁকা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। কারণ, এই একটা ক্ষমতাই আমার কাছে এখন পড়ে রয়েছে। আমি দিন-রাত এখন শুধু ছবি আঁকি। ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর হয়ে গেল," হাসতে-হাসতে জুড়ে দেন রাসেল।
শৈশব থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিল রাসেলের। ক্রিকেট খেলা শুরু করার পরেও যে 'নেশা' কাটেনি তাঁর। আর তা এতটাই ছিল ইংরেজ কিপার-ব্যাটারের যে, রাসেলের যত্র-তত্র ছবি আঁকার তাড়নায় জাতীয় দলে তাঁর সতীর্থরা পর্যন্ত 'অতিষ্ঠ' হয়ে যেতেন। "কখনও অর্থ রোজগারের কথা ভেবে ছবি আঁকিনি। এঁকেছি ভালোবাসা থেকে। আর ক্রিকেট খেলে যত না রোজগার করেছি, তার চেয়ে অনেক বেশি করেছি ছবি এঁকে," নির্দ্বিধায় বলে দেন রাসেল। ভুল বলেননি। ২০১৯ অ্যাশেজের সময় রাসেলের একটা ছবির দাম কত উঠেছিল জানেন? পঁচিশ হাজার পাউন্ড!
