সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে মূলত লজ্জাই সঙ্গী হয়েছে গৌতম গম্ভীরের। গত জুলাই থেকে একাধিক লজ্জার নজির গড়েছে ভারতীয় দল। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশ। ভারতীয় দলের এমন দুর্দশা শেষবার হয়েছিল ২৪ বছর আগে। শোনা যাচ্ছে, একের পর এক হতাশাজনক ফলে বিসিসিআই বিরক্ত। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর সত্যি ধরলে, বোর্ড কর্তারা গম্ভীরের পারফরম্যান্সে এতটাই হতাশ যে লাল বলের ক্রিকেট থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও ভাবা শুরু হয়েছে।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ হার লাল বলের ক্রিকেটে কোচ হিসাবে গম্ভীরের যোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শুক্রবারই এই হারের ময়নাতদন্তে বোর্ড কর্তাদের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে গুরু গম্ভীরকে। বোর্ড মনে করছে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হতাশাজনক ফলাফলের জন্য অনেকাংশে দায়ী কোচ গম্ভীরের ‘একগুয়েমি’। সূত্রের খবর, গম্ভীরের নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন বোর্ড কর্তারা। বোর্ড কর্তাদের প্রশ্ন, সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও কেন মুম্বই টেস্ট জশপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হল? পুণেতে স্পিনের সামনে ধরাশায়ী হওয়ার পরও মুম্বইয়ে স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করা হল কেন? পিচ নিয়ে গম্ভীরের ‘ফরমাইশ’ করার প্রবণতা নিয়েও বোর্ড কর্তারা প্রশ্ন তুলেছেন বলে সূত্রের দাবি।
এখানেই শেষ নয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'দৈনিক জাগরণ'-এর দাবি, বোর্ড কর্তারা নাকি ঠিক করে ফেলেছেন, আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিই গম্ভীরের আসল 'টেস্ট'। সেই পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে লাল বলের ক্রিকেটের কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই টেস্টে গম্ভীরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। 'দৈনিক জাগরণ'-এর দাবি, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভালো ফল করতে না পারলে গম্ভীরকে সরিয়ে টেস্টের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ভিভিএস লক্ষ্মণকে। আর গম্ভীরকে শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোচিং করানোর কথা বলা হতে পারে। সেখানেই উঠছে আরও এক প্রশ্ন। লাল বলের ক্রিকেট থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে কি গম্ভীর নিজেই সাদা বলে থাকতে চাইবেন? সেক্ষেত্রে ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে পুরোপুরি নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন দ্রাবিড়ের উত্তরসূরি।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে হার ভারতের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে অজিভূমিতে অন্তত গোটা তিন-চারেক ম্যাচ জিতে না ফিরতে পারলে টেস্ট ফাইনালে খেলা হবে না রোহিতদের। সেটাই টেস্টে গম্ভীরের চাকরি বাঁচানোর শর্ত।