সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতারাতি অভিজ্ঞদের অভাব পূরণ করা যায় না। ক্রিকেটের এই ধ্রুবসত্য অবশেষে মেনে নিলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চুনকাম হওয়ার পর বোধোদয় হল টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচের। তিনি স্বীকার করলেন, ১০-১৫ ম্যাচ খেলা 'বাচ্চা'রা আর যা-ই হোক ১০০ টেস্ট খেলা অশ্বিনদের মতো পারফর্ম করতে পারবেন না।
প্রথমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, তারপর রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি। গৌতম গম্ভীর কোচ হয়ে আসার এক বছরের মধ্যেই টিম ইন্ডিয়ার তিন সিনিয়র তারকা অবসর ঘোষণা করে দেন। ঘটনাচক্রে তিন তারকার অবসরই একপ্রকার আচমকা, অপ্রত্যাশিত। তিন মহাতারকার অবসরের নেপথ্যে কোনও এক অদৃশ্য হাত যে রয়েছে সেটা বোধ হয় ভারতীয় ক্রিকেট মহলে কারও অজানা নয়। আসলে গম্ভীর কোচ হওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেটের তারকা সংস্কৃতি ভাঙতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তরুণদের তুলে আনার নামে গুচ্ছ পরীক্ষানিরিক্ষা শুরু করেছেন। যার ফল ভুগতে হচ্ছে টিম ইন্ডিয়াকে।
ইতিমধ্যেই ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চুনকাম হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও হার। মাঝে অজিদের বিরুদ্ধেও সিরিজ হারতে হয়েছে। লাগাতার হারের পর সিনিয়র ক্রিকেটারদের গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝেছেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। গম্ভীরের দাবি ভারতীয় দল একটা বড় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রিকেটারদের আরও সময় দিতে হবে। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ বলছেন, "এত বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে হারালে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। এই সময়টাকেই আমরা ট্র্যানজিশন বলছি। নতুন ক্রিকেটারদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দেওয়া দরকার।" টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচের বক্তব্য, "এর আগে কখনও ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই একসঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। হয় ব্যাটিং ঠিক থাকে, নাহ বোলিং ঠিক থাকে। এই দল পুরো নতুন করে শুরু হচ্ছে। ফলে কিছুটা সময় দিতে হবে।"
উদাহরণ হিসাবে তিনি তুলে ধরেন ওয়াশিংটন সুন্দরের কথা। গম্ভীর বললেন, "আমরা ওয়াশিংটনকে যতটা বেশি সম্ভব সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আপনি যদি ভাবেন ১০০-র বেশি টেস্ট খেলা অশ্বিনের মতো খেলে দেবে ওয়াশিংটন, তা হলে তরুণ ছেলেটার উপরে অবিচার করা হবে।" অজুহাতের সুরে গম্ভীর বললেন, "ট্রানজিশনে ক্রিকেটারদের সময় দিতে হবে। সবে ১০-১২-১৫টা টেস্ট খেলেছে ওরা। এখনও শিখছে। আলাদা পরিবেশে, আলাদা পরিস্থিতিতে খেলা শিখছে।"
