সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। ঘরের মাঠে জোড়া সিরিজে চুনকাম। ৬৬ বছরে প্রথমবার ৭ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হার। এ তো লজ্জার পরও গৌতম গম্ভীরের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে না বিসিসিআই। বোর্ড সূত্রের খবর, গম্ভীরের উপর এখনই যে বোর্ড শুধু আস্থা হারাচ্ছে না তা-ই নয়। টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচকে সবরকমভাবে সাহায্য করারও আশ্বাস দিচ্ছে বোর্ড।
ইডেনের টার্নিং পিচ হোক কিংবা গুয়াহাটির ‘স্পোর্টিং’ পিচ, সবেতেই ব্যর্থ গৌতম গম্ভীরের ভারত। পর পর ব্যর্থতার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে হেডকোচ গম্ভীরের ভবিষ্যৎ। গুয়াহাটি টেস্টের পর এ নিয়ে প্রশ্নও করা হয়েছিল গম্ভীরকে। তিনি অবশ্য মচকাতে নারাজ। সাফ বলে দিচ্ছেন, “এটা বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। আমি নই, সবার আগে আমার কাছে ভারতীয় ক্রিকেট গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভুলে গেলে চলবে না, আমিই সেই ব্যক্তি যার সময়ে আমরা ইংল্যান্ডে ভালো ফলাফল করেছি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এশিয়া কাপ জিতেছি। আমরা এমন একটা দল, যারা প্রতিনিয়ত শিখছে।” অর্থাৎ কোচ গম্ভীর ব্যর্থতা মানতে নারাজ।
সূত্রের খবর গম্ভীর যে ব্যর্থ, তেমনটা মনে করছেন না বোর্ড কর্তারাও। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, হেডকোচের উপর থেকে এখনই আস্থা হারাচ্ছে না বিসিসিআই। বোর্ড সূত্রের খবর, ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত গম্ভীরের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বোর্ডের। ফলে এখনই তাঁকে সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে না। বরং বিসিসিআই তাঁকে আরও সময় দেওয়ার পক্ষে। বোর্ড কর্তারা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রকে জানিয়েছেন, টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচ নতুন করে দলটাকে তৈরি করার চেষ্টা করছেন আগামী দিনের জন্য। তাই তাঁকে সময় দেওয়া হবে। তিনি যেভাবে চাইবেন, দল সেভাবেই চলবে। তাঁকে সবরকমভাবে সাহায্য করবে বোর্ড। অর্থাৎ এত ব্যর্থতার পরও গম্ভীরই ভারতীয় ক্রিকেটের শেষ কথা বলবেন।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ শেষ হওয়ার পর কোচের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসবেন বোর্ড কর্তারা। সেখানে টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতির জন্য আর কী কী করা প্রয়োজন, সেটা নিয়ে আলোচনা করা হবে। কোচের পরামর্শ মতো আগামী দিনের কৌশল সাজানো হবে।
