সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেকে ফিটনেসের সেরা জায়গায় রেখেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রাক্তন স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচ শংকর বসু জানিয়েছেন, কোহলি নিজেকে অলিম্পিক অ্যাথলিটের মতো গড়ে তুলেছিলেন। এক্ষেত্রে বিরাট ছিলেন ব্যতিক্রমী। নিজেকে ফিট রাখতে নিষ্ঠার কোনও অভাব রাখতেন না তিনি।
শংকর বসুর কথায়, "বিরাটই এমন একজন ক্রিকেটার যে নিজেকে একজন অলিম্পিক অ্যাথলিটের মতো গড়ে তুলেছে। এর জন্য চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ নিয়েছে। অসম্ভব খেটেছে। একই ধরনের অনুশীলন বারবার নিতে চাইত না ও। সব সময় নতুন কিছু করতে চাইত। এক্ষেত্রে বিরাটের মতো মনোযোগী ছাত্র আর হয় না। ও সেই ধরনের ছাত্র, যে প্রথমে অনেক প্রশ্ন করবে। তারপর একবার বুঝে গেলে আর দেখতে হবে না। সেটা রপ্ত করেই ছাড়বে। ভালো নেতাকে একজন আদর্শ ব্যক্তি হতে হয়। বিরাট তেমনই ছিল।"
তিনি আরও বলেন, "বিরাটকে দেখে গোটা দল এই সংস্কৃতিকে রপ্ত করতে শুরু করে। বিরাট একটা সময় ফিটনেসের প্রতীক ছিল। আমার মনে আছে, একজন বিদেশি কোচ দলের প্র্যাকটিস দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, 'এটা কী চলছে?' বিরাট-সহ গোটা দল অনুশীলনে সেই সময় অলিম্পিক অ্যাথলিটের মতো দৌড়চ্ছিল। সবার মুখে ছিল ক্ষিপ্রতা। আর এটার জন্য একজনেরই কৃতিত্ব প্রাপ্য। সে বিরাট।"
শচীন তেণ্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড় এবং সুনীল গাভাসকরের পরে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাট থেকে আগেই অবসর নিয়েছিলেন ‘কিং’। ১২৩ টেস্টে তাঁর রান ৯,২৩০। গড় ৪৬.৮৫। বিরাটের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩০টি সেঞ্চুরি, ৩১টি হাফসেঞ্চুরি। ডবল সেঞ্চুরি করেছেন ৭টি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, ১০ হাজার রান থেকে মাত্র ৭৭০ রান আগেই থামল বিরাটের টেস্ট কেরিয়ার। অর্থাৎ, অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যক্তিগত রেকর্ডকে গুরুত্ব দেননি তিনি।
