প্রথম ইনিংস
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৮৯/১০ (মুথুস্বামী ১০৯, জানসেন ৯৩, কুলদীপ ১১২/৪)
ভারত: ২০১/১০ (যশস্বী ৫৮, ওয়াশিংটন ৪৮, জানসেন ৪৮/৬)
দ্বিতীয় ইনিংস
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৬০/৫ ডিক্লেয়ার (স্টাবস ৯৪, জর্জি ৪৯, জাদেজা ৬২/৪)
ভারত: ২৭/২ (সুদর্শন ২*, কুলদীপ ৪*, হার্মার ১/১)
পঞ্চম দিনে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ৫২২ রান।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিচ এখন আর 'রাস্তা' নয়। এখন রীতিমতো খানাখন্দ দেখা যাচ্ছে। আর তাতে হোঁচট খেয়ে পড়ছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। ভরাডুবি কার্যত সময়ের অপেক্ষা মনে হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৪৯ রানের বিরাট লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের রান ২ উইকেট হারিয়ে ২৭। কেএল রাহুল ও যশস্বী জয়সওয়াল আউট।
পঞ্চম দিন সকালে ভারতের হয়ে ব্যাট করতে নামবেন সাই সুদর্শন (২*) ও কুলদীপ যাদব (৪*)। এর মধ্যে কুলদীপকে নামানো হয়েছে 'নাইট ওয়াচম্যান' হিসেবে। তবে দেখে মনে হচ্ছে, তিনিই গুয়াহাটির পিচে সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ। সাই সুদর্শন ব্যাক ফুটে সামলে নিচ্ছেন ঠিকই, তবে পঞ্চম দিন সকালে জানসেনদের সামনে আরও বড় পরীক্ষা হবে। ঠিক যেভাবে পরীক্ষায় বসে ব্যর্থ হয়ে ফিরলেন যশস্বী (১৩)। বল শরীরের দিকে একটু ঢুকে এলেই টাল সামলাতে পারছেন না তিনি। আর যে পিচকে 'রাস্তা' বলে কুলদীপ দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট পেলেন না, সেখানে এক হাত টার্ন করালেন সাইমন হার্মার। রাহুলের (৬) ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল ঘুরে উইকেট ভেঙে দিল।
কুলদীপ-জাদেজারাও এরকম টার্ন পেয়েছেন। কিন্তু সেগুলো দিব্যি সুইপ-রিভার্স সুইপ করে কাটিয়ে দিয়েছেন ত্রিস্তান স্টাবসরা। দিব্যি ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান তুলে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অনেকের মনে হচ্ছিল, তারা হয়তো ডিক্লেয়ার করতে দেরি করছেন। কিন্তু দুই ভারতীয় ওপেনার আউট হয়ে বুঝিয়ে দিলেন কোনও ভুল করেননি টেম্বা বাভুমা। এরপর ব্যাট করতে আসবেন ধ্রুব জুরেল, ঋষভ পন্থরা। প্রথম ইনিংসে দু'জনেই ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। সামনে এখনও ৫২২ রানের বিরাট লক্ষ্য। হাতে একটা দিন, ৯০ ওভার। রান তাড়া করে জেতা সম্ভব নয়। শুধু দেখার বড়জোর টিকে থেকে টেস্ট ড্র করতে পারে কিনা। তাতেও সিরিজ হার আটকানো যাবে না। কিন্তু তাতে অন্তত টেস্ট ব্যাটিংয়ের 'ক্লাস' হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
কারণ, বর্তমান থেকে কিছু পাওয়ার নেই। ২০২৪-এ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে তিন টেস্টে হেরেছিল ভারত। বছর ঘুরতে সম্ভাবনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ইডেন টেস্টে লজ্জার হারের পর এবার গুয়াহাটিতেও হারের সম্ভাবনা। পরপর দু'বছর চুনকামের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ভারত। তারও আগে ১৯৯৯-২০০০ সালে দেশের মাটিতে শচীন তেণ্ডুলকরের নেতৃত্বাধীন দল এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চুনকাম হয়েছিল। দুই যুগ পর সেটাই কি ফিরতে চলেছে? অপ্রিয় প্রশ্নের সামনে 'গম্ভীর' ড্রেসিংরুম।
