সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪৮ বছরের ইতিহাস বদলে গুয়াহাটিতে লাঞ্চের আগে চা-পান বিরতি হয়েছে। কিন্তু লাঞ্চ হোক বা চা-পান, কোনও বিরতিতেই ভারত অ্যাডভান্টেজে নেই। বরং পেস-স্পিন, সবই দিব্যি সামলে দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার (IND vs SA) ব্যাটাররা। নেপথ্যে কখনও ক্যাচ মিস, কখনও নির্বিষ বোলিং, তো কখনও 'বদলি' অধিনায়ক ঋষভ পন্থের দিশাহীন নেতৃত্ব। লাঞ্চের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান। ব্যাট করছেন টেম্বা বাভুমা ও ত্রিস্তান স্টাবস।
গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে প্রথমবার টেস্ট আয়োজন হচ্ছে। আর সেখানে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হল ঋষভ পন্থ। কিছুদিন আগে ইডেনে দর্শকাসন প্রায় ভর্তি ছিল। সেখানে বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে অধিকাংশ দর্শকাসনই ফাঁকা। তেমনই হতাশ করলেন অধিনায়ক পন্থ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা। ভারতীয় দলে দুই বদল এসেছে। চোট পাওয়া শুভমান গিল ও অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় খেলছেন সাই সুদর্শন ও নীতীশ কুমার রেড্ডি।
তবে তিন পেসার খেলিয়ে বিশেষ লাভ হয়নি ভারতের। বর্ষাপাড়ার পিচে সকালের দিকে কিছুটা সুইং হয়েছে। পরের দিকে ভাঙলে স্পিনাররা সুবিধা পাবেন। তবে প্রথম দিনে সেভাবে বিপজ্জনক কিছু নেই। জশপ্রীত বুমরাহকে সকালের দিকে সামলে দিলেন আইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটনরা। অবশ্য তাতে কেএল রাহুলেরও 'সাহায্য' পেলেন। মার্করামের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করলেন রাহুল। চা-পানের বিরতির ঠিক আগে মার্করামকে (৩৮) বোল্ড করেন বুমরাহ।
কিন্তু সবচেয়ে বেশি হতাশ করলেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। প্রায়ই লাইন লেংথ হারালেন। তাঁকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও অনভিজ্ঞতার পরিচয় দিলেন পন্থ। নীতীশকে ৪ ওভার করিয়ে সরিয়ে দিলেন, আবার ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে ৪ ওভার করিয়ে কুলদীপ যাদবকে আচমকা সরিয়ে দিলেন। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে এলেন ৩৫ তম ওভারে। ভারতকে দ্বিতীয় সাফল্য দিলেন কুলদীপ যাদবই। রিকেলটনের (৩৫) খোঁচায় অসাধারণ ক্যাচ ধরলেন পন্থ। তবে লাঞ্চ পর্যন্ত অনায়াসে কাটিয়ে দিলেন স্টাবস (৩২) ও বাভুমা (৩৬)। রানের গতি কম ঠিকই, তবে দেখার কোথায় গিয়ে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
উল্লেখ্য, ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলা হলে ম্যাচ শুরু হয় সকালে সাড়ে ৯টা থেকে। দু’ঘণ্টা খেলার পর বেলা সাড়ে ১১টায় মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। ৪৫ বা ৫০ মিনিট পরে শুরু হয় দ্বিতীয় সেশনের খেলা। ঘণ্টাদুয়েক পরে চা-পানের বিরতি। কিন্তু বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে সাড়ে আটটায় টস হয়। ম্যাচ শুরু হয় ৯টায়। বেলা ১১টায় ২০ মিনিটের চা পানের বিরতি। তারপর ১১টা ২০ থেকে ১টা ২০ পর্যন্ত দ্বিতীয় সেশন। কারণ দেশের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় গুয়াহাটিতে অনেক আগে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হয়।
