সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফলো-অনের লজ্জা সহ্য করতে হয়নি। কিন্তু চুনকামের আতঙ্ক এখনও তাড়া করছে। ২০২৪-এ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে তিন টেস্টে হেরেছিল ভারত। বছর ঘুরতে সম্ভাবনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ইডেন টেস্টে লজ্জার হারের পর এবার গুয়াহাটিতেও হারের সম্ভাবনা। তবে এখনও হাল ছাড়তে নারাজ ওয়াশিংটন সুন্দর। ক্রিকেট যে 'মহান অনিশ্চিয়তার' খেলা, সেটাতেই বিশ্বাস রাখছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো জানসেন ধরে নিয়েছিলেন দু'দিন ফিল্ডিং করতে হবে। সেটা না হওয়ায় কিছুটা অবাক তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৮৯ রানের জবাবে ভারতের ইনিংস থেমে যায় ২০১ রানে। ফলো-অন না করিয়ে ফের ব্যাট করতে নেমেছে প্রোটিয়ারা। তৃতীয় দিনের শেষে তারা এগিয়ে ৩১৪ রানে। স্পষ্টতই সিরিজে সমতা ফেরাতে বিরাট রান তাড়া করে জিততে হবে। তবে তারও আগে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট ফেলতে হবে। সব মিলিয়ে জয় কার্যত অসম্ভব।
তবে ওয়াশিংটন হাল ছাড়ছেন না। তিনি বলছেন, "জীবনে সবসময় ইতিবাচক থাকা দরকার। কেউ বলতে পারবে না কী হতে পারে।" পাশাপাশি পন্থ-জুরেলরা 'ভুল' শট খেলে আউট হলেও সতীর্থদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ওয়াশিংটন। তাঁর বক্তব্য, "অন্যদিনে হয়তো এই শটটাই মাঠের বাইরে পড়ত। তখন সবাই হাততালি দিত। নিজেদের পরিকল্পনায় ভরসা রাখতে হবে।" আরেকটি বিষয়েরও উত্তর দিয়েছেন ওয়াশি। ইডেনে তাঁকে তিন নম্বরে নামানো হয়েছিল, গুয়াহাটিতে ৮ নম্বরে নেমে ৪৮ করেন। এই বদল নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "আমি এমন একজন ক্রিকেটার হতে চাই, যাকে সব জায়গায় খেলানো যায়।"
তবে ভারতীয় ব্যাটারদের 'দুরবস্থা' দেখে অবাক জানসেন। ৪৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দেন তিনি। তার আগে ঝোড়ো ৯৩ রান করেন। প্রোটিয়া তারকা বলেন, "উইকেটের বাউন্স ও গতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। বল যখন খুব বেশি নড়াচড়া করছিল না, তখন স্পিনাররা সত্যিই ভালো কাজ করেছিল। আমি সেটাকে কাজে লাগিয়েছি। আমরা দুই দিন ধরে ফিল্ডিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।" সেটা করতে হল না। ইডেনে আড়াই দিনে টেস্ট জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গুয়াহাটিতে দিন বাড়বে, ছবিটা কি বদলাবে?
