ইংল্যান্ড: ১৭১-৯ (ডাকেট ৫১, লিভিংস্টোন ৪৩, বরুণ চক্রবর্তী ৫-২৪)
ভারত: ১৪৫-৯ (হার্দিক ৪০, অভিষেক ২৪)
ইংল্যান্ড ২৬ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের স্পিন অস্ত্রে নিজেরাই কাবু। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার এই কথাগুলি লিখতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার জন্য। তবে সেটা ছিল টেস্ট ফরম্যাটে। এবার টি-টোয়েন্টিতেও একই হতাশার পুনরাবৃত্তি। রাজকোটে নিজেদের পাতা স্পিনের ফাঁদে ফেঁসে গেল টিম ইন্ডিয়া। তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ২৬ রানে হারতে হল ভারতকে।
রাজকোটেও টস জিতেছিল ভারত। আবারও আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। পরিকল্পনা ছিল আগের দুই ম্যাচের মতো কম রানে ইংল্যান্ডকে আটকে দিয়ে সহজে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া। কিন্তু রাজকোটে তেমনটা হল না। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড তুলে ফেলল ৯ উইকেটে ১৭১ রান। ইনিংসের শুরুতে ডাকেটের ৫১, লিভিংস্টোনের ২৪ বলে ৪৩ এবং শেষ উইকেটের জুটিতে রশিদ এবং উডের ব্যাটিং খানিক ম্লান করে দিল বরুণ চক্রবর্তীর পাঁচ উইকেটকেও। দীর্ঘদিন বাদে জাতীয় দলে ফেরা মহম্মদ শামিকে নির্ধারিত চার ওভারও বল করালেন না অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ৩ ওভারে বিনা উইকেটে শামি দিলেন ২৫ রান।
১৭২ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা বিশ্রী হয় ভারতের। দুই ওপেনার ফিরে যান মাত্র ৩১ রানে। অধিনায়ক সূর্য ব্যাট হাতে সেভাবে ফর্মে নেই। এদিনও ব্যর্থ হলেন তিনি। তাঁর সংগ্রহ ১৪। তিলক বর্মা করলেন ১৮ রান। একা হার্দিক ৪০ রানের ইনিংসে খানিকটা লড়াই করলেন। আসলে ইংল্যান্ডের স্পিনাররা মাঝের ওভারগুলোতে ভারতীয় ব্যাটারদের এমনভাবে চেপে ধরেছিলেন যে রানের গতি অনেকটা কমে যায়। যার ফলে বাড়তি চাপ পড়ে যায় ব্যাটারদের উপর। সেই চাপই কাল হল। শেষ পর্যন্ত ভারতের ইনিংস শেষ হয় ১৪৫ রানে।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের জয়ের ফলাফল আপাতত ২-১। সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে পুণে এবং মুম্বইয়ে। রাজকোটের ব্যাটিং ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করবে ভারত।