সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা (Ro-Ko)। দু’জনকে ঘিরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে টিম ইন্ডিয়া। ২৯১ দিন পর দেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁদের। রাঁচিতে হাফসেঞ্চুরি এসেছে হিটম্যানের ব্যাট থেকে। অন্যদিকে, ৫২তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ‘কিং’। বিরাট-রোহিতের রান ছাড়া দু'শোও পেরত না ভারত, কার্যত গৌতম গম্ভীরকে বিঁধে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ।
তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে কাইফ বলেন, টিম ইন্ডিয়াকে বাঁচানোর প্রধান কারিগর রো-কো জুটি। তিনি মনে করেন রোহিত, বিরাট ব্যর্থ হলে তরুণরা ২০০ রানও করতে পারত না। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, "না, একেবারেই না। বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা আউট হলে ডাহা হারত টিম ইন্ডিয়া। প্রথম কথা হল, ৩৫০ না করতে পারলে এই দক্ষিণ আফ্রিকান দলকে হারানো যেত না। এই জয়ের মূল কাণ্ডারি রোহিত-বিরাট। তরুণদের কথা বারবার বলা হচ্ছে। তাদের দলে সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যা অবস্থা, তাতে তো ওরা সবাই মিলে দু'শো রানও করতে পারবে না। তাই শেষ পর্যন্ত কোহলি-রোহিতের দ্বারস্থ হয়েছিল।"
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন হিটম্যান। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। তার মধ্যে ছিল তিনটি ছক্কা। যার সাহায্যে এখন আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ছয় এখন রোহিত শর্মার নামে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এতদিন ছিল পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদির দখলে। তিনি ৩৯৮ ম্যাচে ৩৫১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। সিরিজের প্রথম ওয়ানডের আগে মাত্র ২৭৬ ম্যাচে ৩৪৯ ছক্কা হাঁকিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন রোহিত। রবিবার রাঁচিতে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেললেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৩৫২।
অন্যদিকে, ১২০ বলে ১৩৫ রান করেছেন বিরাট। এতদিন পর্যন্ত ক্রিকেটের কোনও একটি ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির নজির ছিল মাস্টার ব্লাস্টারের নামে। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন কোহলি। এখানেই শেষ নয়। অজি কিংবদন্তি রিকি পন্টিংকেও টেক্কা দিয়েছেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন নম্বরে নেমে পন্টিংয়ের ছয়ের সংখ্যা ২১৭। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নান্দ্রে বার্গারের বলে সোজা ছক্কা হাঁকিয়ে সেটা ভেঙে ফেললেন কোহলি। তাছাড়া রো-কো'র জুটিতে উঠেছে ১৩৬ রান। ভারতীয় ক্রিকেটে দুই মহারথীর মূল্য এখনও অপরিসীম, তা তাঁরা দেখিয়েছেন।
কাইফের কথায়, "কোহলি সেঞ্চুরি করেছে। এই জয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র হল, ওর ব্যাট থেকে আসা রান। সাতটা ছক্কা মেরেছে। রোহিতও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছে। দু'জন অসাধারণ জুটিও গড়ে তুলেছে। এই সিরিজের আগে সিডনিতেও ওরা এই কাজটাই করেছে। আসলে টেস্ট সিরিজ হারার টিম ইন্ডিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। রাঁচিতে জয়ের পর এখন হয়তো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে সবাই। ওল্ড ইজ গোল্ড। কোহলির বয়স ৩৭। রোহিতের ৩৮। এই ম্যাচে ওদের প্রয়োজন ছিল। ওরা রান না করলে দক্ষিণ আফ্রিকা খুব সহজেই ম্যাচটা জিতত।" উল্লেখ্য, ভারতের দেওয়া ৩৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়া বাহিনী। ৩ ডিসেম্বর, রায়পুরে দুই দল ফের মুখোমুখি হবে।
