দেবাশিস সেন, বার্বাডোজ: ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে হারিকেন ঝড় ‘বেরিল। ফলে এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না রোহিত-কোহলিদের। ঝড়ের দাপটে বন্ধ বিমানবন্দর। জারি হয়েছে কারফিউ। ফলে আপাতত হোটেল বন্দি ভারতের জাতীয় দলের সমস্ত ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ থেকে বোর্ড কর্তা, এমনকি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। ক্রিকেটার ও আটকে থাকা সাংবাদিকদের একই বিমানে দেশে ফেরানোর তৎপরতা শুরু করেছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। তবে এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, বিমানবন্দর কবে চালু হবে। ফলে পুরো ব্যাপারটাই এখন অনিশ্চয়তার মোড়কে।
শক্তি বাড়িয়েছে হারিকেন 'বেরিল'। পরিণত হয়েছে 'অতি ভয়ঙ্কর ক্যাটাগরি ফোর' ঘূর্ণিঝড়ে। ল্য়ান্ডফলের সময় যার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টার ১৩০ কিলোমিটার। ঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে বার্বাডোজে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, আমরা যে জায়গায় রয়েছি সেখানে এখন বৃষ্টি থেমেছে। রোদও উঠেছে। তবে বিমানবন্দর এখনও বন্ধ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে উড়ান সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতাকে ‘গাধা’ বলায় ‘জুতোপেটা’! বৃদ্ধার মৃত্যু বর্ধমানে]
সূত্রের দাবি. বিসিসিআইয়ের তরফে একটি চাটার্ড বিমানের ব্য়বস্থা করার চেষ্টা চলছে। যাতে গোটা টিম ও সাংবাদিকদের দ্রুত অন্তত দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু কবে নাগাদ এর ব্যবস্থা হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। সূত্রের দাবি, ঝড়ের ফলে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। রোহিতদের হোটেল বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছেই বলে সূত্রের দাবি।
বিশ্বকাপ ফাইনালে মাঠেই ছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। ফলে তিনিও আটকে রয়েছে দুর্যোগ কবলিত দ্বীপরাষ্ট্রে। এদিন তিনি জানান, "আপাতত ক্রিকেটার, সাংবাদিক ও আধিকারিকদের দ্রুত দেশে ফেরানোই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তার পর দেখা যাবে দেশের মাটিতে কীভাবে তাঁদের অভ্যর্থনা জানানো যায়।" প্রসঙ্গত, বড়সড় দুর্যোগে আটকে পড়েছেন রোহিতরা। হারিকেন ঝড় ‘বেরিল’-এর দাপটে এখনও বার্বাডোজেই আটকে কোচ দ্রাবিড়-সহ গোটা দল।