লখনউ সুপার কিংস: ২০৯/৮ (মার্শ-৭২, পুরান-৭৫)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ২১১/৯ (আশুতোষ- ৬৬*, নিগম-৩৯)
১ উইকেটে জয়ী দিল্লি ক্যাপিটালস

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলে ম্য়াচের আগা-গোড়া পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরপুর। আর সেই কারণেই এই টুর্নামেন্টের এহেন জনপ্রিয়তা। মরশুমের শুরুতেই আরও একবার তা প্রমাণিত হল। প্রায় জেতা ম্যাচ আক্ষরিক অর্থেই ঋষভ পন্থের 'হাত ফসকে' চলে গেল দিল্লি শিবিরে। শেষবেলায় মোহিত শর্মাকে স্টাম্প আউট করতে পারলে ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। কিন্তু হল একেবারে উলটোটা। আশুতোষ শর্মার চওড়া ব্যাটে জয় দিয়ে এবারের আইপিএল অভিযান শুরু করল দিল্লি ক্যাপিটালস।
প্রথমবার দিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়েই সফল অক্ষর প্যাটেল। এদিন টস জিতে প্রথমে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠান তিনি। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আথিয়া শেট্টির পাশে থাকতে এই ম্যাচে ছিলেন না কেএল রাহুল। তবে গোড়া থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখায় অধিনায়ক অক্ষরকে। বলে দেন, তাঁদের দল যথেষ্ট ব্যালেন্সড। তবে ব্যাট হাতে শুরুটা মন্দ করেনি লখনউ। ১৫ রানে মারক্রাম আউট হলেও দলের হাল শক্ত হাতে ধরেন মিচেল মার্শ ও লিকোলাস পুরান। তাঁদের দুরন্ত পার্টনারশিপেই কার্যত রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল। ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। তবে এদিন উইকেটের পিছনেও যেমন হতাশ করেছেন পন্থ, তেমনই ব্যাটার হিসেবেও। ৬ বলে শূন্য রানে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। ৪ ওভারে ৪২ রান দিলেও তিনটি উইকেট তুলে নেন স্টার্ক। জোড়া উইকেট নেন কুলদীপ যাদব।
লখনউয়ের প্রথম একাদশের দিকে তাকালে বেশ স্পষ্ট যে পন্থদের বোলিং লাইন-আপের থেকে অনেকটাই বেশি শক্তিশালী ব্যাটিং। তাই স্কোরবোর্ডে ২০০-র গণ্ডি ছাড়ালেও বোলারদের যে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে, তেমনটা আন্দাজ করাই গিয়েছিল। শেষমেশ সেটাই বাস্তবায়িত হল। শার্দূল ঠাকুররা দিল্লির টপ অর্ডারে ধস নামালেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ায় দল। আশুতোষের অনবদ্য ব্যাটিংয়েই অসাধ্যসাধন হল। তবে শেষে মোহিতকে প্যাভিলিয়নে পাঠাতে পারলে এত বড় স্কোর জলে যেত না লখনউয়ের। জেতার পথ খুলতে হলে যাবতীয় ভুল শুধরেই পরের ম্যাচে নামতে হবে দলের নয়া ক্যাপ্টেন পন্থকে।
দিল্লির প্রথম জয়ে উচ্ছ্বসিত ফ্র্যাঞ্চাইজির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দলকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, রান তাড়া করে দারুণ ইনিংস খেলেছেন ব্য়াটাররা। রাহুল ফিরলে এবং জ্যাক ভালো খেললে অসাধারণ ব্যাটিং লাইন-আপ তৈরি হবে।